বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার পুরনো এক নেতা বলেন, ‘প্রার্থী বদলের দাবির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। কারণ, অভিজিৎ দাস আগেও দু’বার এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জিততে পারেননি। এবারও পারবেন না। সেই জন্যই বদলের দাবি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব এই দাবি মানেনি। জানিয়ে দিয়েছে, যাঁকে প্রার্থী করেছে দল, তাঁর হয়েই ময়দানে নামতে হবে।’ দলের অন্য একটি সূত্রের দাবি, এই বিদ্রোহের পিছনে রয়েছে দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সর্দার শিবিরের উস্কানি। কারণ, ওই শিবিরের আশঙ্কা, এই প্রার্থীর দাপটে সভাপতি ও তাঁর শিবিরের ক্ষমতা কমে যাবে। কার্যত পুতুল হয়ে থাকতে হবে সভাপতিকে। ইতিমধ্যে অতীতে সেরকম কিছু বিষয় সামনেও এসেছে পদ্ম শিবিরের সৌজন্যেই। যেমন, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই কেন্দ্রের বহু কর্মী, মণ্ডল সভাপতি তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। অনেকে এখনও ঘরছাড়া। অভিজিৎ সর্দার সভাপতি হয়ে আসার পর কোনও যাচাই ছাড়াই দলের দুর্দিনের সেই লড়াকু কর্মী ও পদাধিকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বজবজ, বিষ্ণুপুর, মহেশতলা থেকে ডায়মন্ডহারবার—এমন ১৭ জন মণ্ডল সভাপতিকে সরানো হয়েছে। জেলা কমিটির ২২ জন সদস্যকে শোকজ করা হয়। ফলে দলের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে রয়েছে। এখন অভিজিৎবাবু প্রার্থী হওয়ায় বসে যাওয়া সেই নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে নেমেছেন। তাতে প্রার্থীর শিবির ভারী হচ্ছে। যা সভাপতি ও তাঁর শিবিরের কাছে অশনি সঙ্কেত।
যদিও জেলা সভাপতি অভিজিৎ সর্দার এসব দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী বদলের ব্যাপারে যা হচ্ছে, তার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হচ্ছে। কোনও পরিবারে অভিভাবকের কাছে সদস্যরা অভিযোগ জানাতেই পারে। এটা তেমনই একটা বিষয় হয়েছে।’
তিনি আরও দাবি করেন, প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করছেন। তাঁর কাছে
শত্রু তৃণমূল। তাই তাদের হারানোই লক্ষ্য।