সংবাদদাতা, কল্যাণী: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যায় তুমুল বিক্ষোভ এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। প্রসঙ্গত, এদিন সকালে গয়েশপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কলাবাগানে কাজ করতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজেপি’র দাবি, আহত ওই ব্যক্তি তাঁদের দলের কর্মী। এরপর সন্ধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদে আনন্দপল্লি মাঠ থেকে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে আসেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। অভিযোগ, তিনি আসতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক ও নেতারা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়। বিজেপি কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল পরিচালিত গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। এনিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে কল্যাণী থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে গয়েশপুরের পুর প্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত পাঁচ বছরে সাংসদকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এদিনের ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। শুধু রাজনীতি করতে উনি এখানে এসেছেন। তাই এলাকার মানুষ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি খবর পেয়ে গণ্ডগোল থামাতে এসেছি। অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুর বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল বাহিনী আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের উপর ইট ছুড়েছে। বোমার আঘাতে আহত ওই ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। তৃণমূলের মদতে এই হামলা হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাব। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রাত পর্যন্ত খবর, দু’পক্ষই ওই এলাকায় রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।