শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিবাদুই ক্ষুদিরামপল্লি এলাকায় যুগলের বাড়ি। ওই স্কুল থেকেই এবার তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ওই একই পাড়ায় ভাড়া থাকে শম্ভু বাগ নামের এক ব্যক্তি। আদতে তার বাড়ি বসিরহাটে। এই এলাকায় নিজেকে ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল সে। অবিবাহিত শম্ভু আবার বাড়তি রোজগারের লক্ষ্যে নিজেকে সাধু ও তান্ত্রিক বলে জাহির করত। তবে তার স্বভাব যে ভালো নয়, তা স্পষ্ট হয়েছে এই ঘটনার পর। স্থানীয়দের কথায়, সে মাঝেমধ্যেই খাবারের প্রলোভন দিয়ে এলাকার কিশোর ও নাবালকদের নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যেত। তখনও বুঝিনি তার উদ্দেশ্য কী। আসলে তাদের উপর সে যৌন নির্যাতন করত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি লাগোয়া মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে বসেছিল যুগল। সেই সময় শম্ভু তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। যুগল কোনওক্রমে পালিয়ে এসে বন্ধু ও পাড়ার লোকজনকে বিষয়টি বলে। স্থানীয়রা দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ জানালে ওই সন্ধ্যায় পুলিস শম্ভুকে ধরতে এলাকায় আসে। পুলিসকে দেখেই প্রতিবেশী সাধন দাসের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় শম্ভু। যুগল ও তার বন্ধুরাই পুলিসকে চিনিয়ে দেয় সাধন দাসের বাড়ি। এরপর পুলিস ওই বাড়ি থেকে শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে। কেন শম্ভুকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, সাধনকে ঘিরে ধরে যুগল ও তার বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, ওই সময় সাধন, তার স্ত্রী অনিমা ও তাদের দুই ছেলে সুরজিৎ ও ইন্দ্রজিৎ ওই কিশোরদের উপর চড়াও হয়। যুগলকে মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। বন্ধুরাই তাকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই স্কুল পড়ুয়ার। বুধবার সকালে যুগলের মা অঞ্জলি দাস থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। দত্তপুকুর থানা জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শম্ভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ছাত্রকে খুনের অভিযোগে সাধন দাস ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই পুত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী চিন্ময় ঢালি বলেন, শম্ভু বলত, সে নাকি তন্ত্রসাধনা করে। ফলে অনেকেই তাকে সম্ভ্রমের চোখে দেখত। কিন্তু তলে তলে যে সে এই কাজ করত, তা অনেকেই জানত না।