উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানালেন, বুলবুলের তাণ্ডবে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াবে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নষ্ট হয়েছে ২ লক্ষ ১৫ হাজার হেক্টর জমির ধান চাষ। ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়েছে। ২ লক্ষেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মমতার কথায়, আকাশপথে যা দেখলাম, আর যা রিপোর্ট পাচ্ছি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অংশেই ১০০ শতাংশ ফসল ক্ষতি হয়েছে। ৬ হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। উপড়ে গিয়েছে গাছ, নষ্ট হয়েছে পানীয় জলের উৎস। মাত্র একটি বিষয় নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাকদ্বীপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বাইরে তাঁর জন্য অপেক্ষারত কয়েক হাজার মানুষের ভিড়কে সম্বোধন করে মমতা বলেছেন, ঘরবাড়ি, পানীয় জল সব ব্যবস্থা করা হবে। ফসল নষ্ট হয়েছে, তা ফের ফলানো যাবে। কিন্তু প্রাণটা অমূল্য। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে দ্রুত ও সময়মতো সবাই ত্রাণ শিবির এবং নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে যাওয়ায় অনেক মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বুলবুল আসার আগে তার মোকাবিলায় যেভাবে কাজ করেছি আমরা, তার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। বুলবুল পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাকদ্বীপে সরকারি আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুলবুল পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যস্তরে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হচ্ছে। নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব। এখন প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর ত্রাণ, উদ্ধারকাজ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো নির্মাণ এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে বৈঠক করবে টাস্ক ফোর্স। একইভাবে জেলাস্তরেও জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সদস্য, বিধায়ক, সাংসদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে পঞ্চায়েত, সেচ, বিদ্যুৎ, পিএইচই, পূর্ত, মৎস্য, বন, খাদ্য এবং উদ্যান পালন দপ্তর আলাদা আলাদা করে সমীক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, যে সমস্ত এলাকায় লবণাক্ত ভাব রয়েছে, সেখানে পিএইচই’র ভ্রাম্যমাণ পরিশোধন যন্ত্র নিয়ে গিয়ে পরিস্রুত জল সরবরাহ করতে হবে। পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের সঙ্গে স্থানীয় এলাকার বেকার যুবক, ক্লাব-সংগঠন, উৎসব ও পরব কমিটির লোকজনকে একশো দিনের কাজের প্রকল্প মারফত যুক্ত করার নিদান দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, এতে স্থানীয়দের কিছু রোজগারও হবে। একশো দিনের কাজে এখন দৈনিক পারিশ্রমিক ১৯০ টাকা। এরই পাশাপাশি দ্বীপ এলাকায় যে সমস্ত পুকুর থেকে রান্না সহ নানা কাজের জল সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষ, সেগুলো থেকে অবিলম্বে ভেঙে পড়া গাছগাছালি সাফ করে তা ব্যবহারের উপযুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে এখন যেন কেউ ‘খেলা’ খেলতে না পারে, সে বিষয়েও আধিকারিকদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আইসি, ওসি আর বিডিওরা দেখবেন, কেউ যেন খেলতে না পারে। মানুষের অভাব-অভিযোগ এলেই টাস্কফোর্সকে জানান। সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করুন।