পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে, গত ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সও। ধুঁকতে থাকা একটা দলকে শিকারের এমন সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবে না তৃতীয় স্থানে থাকা নাইটরা। কিন্তু টি-২০ ফরম্যাটে মুহূর্তে বদলে যায় সবকিছু। পচা শামুকে পা কাটার বহু নজির রয়েছে আইপিএল মঞ্চে। আর উল্টোদিকে যখন কোহলির মতো তারকা, তখন কী নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় না। হয়তো মিচেল স্টার্কও পারেননি। শনিবার অনুশীলনে দেখা গেল না তাঁকে। এমনিতেই ফর্ম হাতড়াচ্ছেন অজি তারকা। তবু কোহলির সঙ্গে তাঁর ডুয়েলের দিকেই নজর থাকবে দর্শকদের।
কেরিয়ারের শেষ পর্বেও কোহলির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। তিনি এখন অনেক শান্ত ও স্থিতধি। আবেগে ব্রেক কষতে শিখেছেন। না হলে কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ঠা-ঠা রোদে দাঁড়িয়ে যেভাবে খোশগল্পে মাতলেন, তাতে কে বলবে একটা সময় তাঁদের মুখ দেখাদেখি ছিল না। সন্ধ্যা ছ’টার পর ইডেন থেকে বেরলেন কোহলি। তাঁকে ঘিরে তৈরি হল বিরাট শব্দব্রহ্ম। ভিড় সামলাতে কালঘাম ছুটল নিরাপত্তারক্ষীদের। বিরাটের গাড়ির দিকে ধাওয়া করলেন শয়ে শয়ে অনুরাগী। কোহলি যেন হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা, যাঁর টানে আট বছরের কৌশানী ঝা আরসিবি’র জার্সি গায়ে বাবার সঙ্গে হাজির ইডেনের সামনে। তার কাছে কোহলি তো স্রেফ ক্রিকেটার নন, রূপকথার নায়ক। তবে প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় মন ভারাক্রান্ত ছোট্ট মেয়েটির। তবে অনুশীলনে কোহলিকে যে মেজাজে দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে ইডেনের জনতাকে আরও একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দিতে বদ্ধপকির তিনি।
আর বিরাট শুরুতে ফিরলে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার মতো ফর্মে নেই ডু’প্লেসিরা। ম্যাক্সওয়েলও অনিশ্চিত। আর এক অজি ক্রিকেটার ক্যামেরন গ্রিনও ফর্ম হাতড়াচ্ছেন। মোদ্দাকথা উপরে কোহলি, নীচে দীনেশ কার্তিক— এই হল আরসিবি’র ব্যাটিংয়ের মূল ভিত্তি। মাঝে তৈরি হচ্ছে মস্ত ফাঁক। তবুও সতর্ক নাইটরা। আসলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আরসিবি যে মরণ কামড় দিতে চাইবে, তা গম্ভীরদের অজানা নয়।
ওপিনিয়ন পোল বলছে, অ্যাডভান্টেজ কেকেআর। শুরুতে সল্ট-নারিন জুটি ঝড় তুলতে পারলে আরসিবি’র বোলিং কাঁপবে। সিরাজ, যশ দয়ালরা একেবারেই ফর্মে নেই। তারপর রঘুংবশী, শ্রেয়স আয়ার, বেঙ্কটেশ আয়ার। সমস্যা হল এই ভিড়ে রিঙ্কু সিং হয়ে গিয়েছেন মেঘেঢাকা তারা। কখনও কখনও তিনি ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাচ্ছেন না। তাই গম্ভীর, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতদের বিকল্প চিন্তাভাবনা করা উচিত। রিঙ্কু বড় ইনিংস খেলার ক্রিকেটার। যশ দয়ালের বিরুদ্ধে পাঁচ ছক্কায় কেকেআরকে জেতানোর মুহূর্ত আজও উজ্জ্বল কেকেআর সমর্থকদের মনের মণিকোঠায়। তাই রিঙ্কুর সঙ্গে রাসেল ঝড় যদি ওঠে, তাহলে ভ্যাপসা গরমে নাইটদের জয় ফুরফুরে হাওয়া বয়ে আনবে কেকেআর সমর্থকদের জন্য।