হায়দরাবাদ: ইউক্রেনের রণাঙ্গনে মৃত্যু ভারতীয় যুবকের। চাকরির টোপ দিয়ে তাঁকে রুশ ভাড়াটে বাহিনীর হয়ে জোর করে তাঁকে যুদ্ধে নামানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। মৃত মহম্মদ আসফানের বাড়ি হায়দরাবাদে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অন্যান্য ভারতীয় যুবকদের মতোই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন আফসান (৩০)। মোটা বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে প্রথমে আসফানদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বলা হয়েছিল, রুশ বাহিনীতে সহায়কের কাজ করতে হবে। কিন্তু পুতিনের দেশে পা রাখতেই স্পষ্ট হয়ে গেল আসল ছবিটা। আসফান সহ বাকিদের জোর করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া হয়। রুশ সেনার ভাড়াটে বাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন তিনি। সূত্রের খবর, আসফানকে দেশে ফেরানোর জন্য মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁর পরিবার। এরপরেই মস্কোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়াইসির দল। উত্তরে আসফানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন দূতাবাসের কর্মীরা। উল্লেখ্য, গত মাসে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল গুজরাতের বাসিন্দা হামিল মাঙ্গুকিয়ার। ঘটনায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন আসফানের ভাই ইমরান। তিনি জানান, হায়দরাবাদে একটি কাপড়ের শোরুমে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন আসফান। বেতন ছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। অভিযোগ, ওই তাঁকে রাশিয়ায় চাকরির টোপ দেয় ফয়সল খান নামে এক ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ফয়সল দুবাইয়ে থাকলেও মুম্বইয়ে তার হয়ে এই প্রতারণা চক্র চালাত সুফিয়ান এবং পূজা নামে দু’জন। চাকরির বিনিময় আসফানদের থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিল অভিযুক্তরা। এজন্য ঋণ নিয়েছিলেন আসফান। স্ত্রী এবং সন্তানদের থেকেও এই তথ্য গোপন রেখেছিলেন ওই যুবক। ইমরান জানান, আসফানদের প্রথম তিনমাসের জন্য ৪৫ হাজার বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অভিযুক্তরা। বলা হয়েছিল, তিনমাস পর ১ লক্ষ টাকার বেশি বেতন মিলবে। এমনকী এক বছরের শেষে পরিবারকে রুশ ভিসা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। গত ১২ নভেম্বর শারজা হয়ে মস্কোয় পৌঁছন আসফান। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের দুই যুবক।