গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ভোট পর্বে বিরোধীরা ব্যস্ত নির্বাচনের কাজে। সংসদে আনাগোনা নেই। সেই সময়কে কাজে লাগিয়েই সংসদ চত্বর থেকে সরানো হচ্ছে ১৪টি মূর্তি। সেগুলি চলে যাবে আয়কর গেট ছয় নম্বরের সামনের পার্কে। গান্ধীজি, আম্বেদকরের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে জওহরলাল নেহরু, ছত্রপতি শিবাজি, মহারাণা প্রতাপ, বীরসা মুন্ডা, দেবীলালের মতো বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা। মূর্তিগুলির সঙ্গে মিশে রয়েছে সাংসদদের এতদিনকার আবেগ, স্মৃতি। সেসবই মুছে দিতে চাইছেন মোদি? মূর্তি সরানোর যুক্তি হল, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি এবং রাষ্ট্রপতির ঘোড়ার গাড়ি নতুন সংসদ ভবনের সামনে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সংসদ ভবনে আসার পথও যাচ্ছে বদলে। রকাবগঞ্জ গুরুদ্বারের দিক দিয়ে এবার সংসদে ঢুকবে রাষ্ট্রপতির গাড়ি। শুরু হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। মাস ছয়েক আগেই নতুন ভবনের সামনে যে রাস্তা তৈরি হয়েছে কোটি কোটি খরচে, সেটি ফের ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন ভবনের গজ দুয়ারের সামনে বসছে ফোয়ারা। যে দরজাটি প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশ-প্রস্থানের পথ।
অন্যদিকে, সংসদ ভবনের নিরাপত্তা দায়িত্ব চলে যাচ্ছে সিআইএসএফের হাতে। এতদিন পিএসএস, আইটিবিপি, দিল্লি পুলিস ও সিআরপিএফ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে এসেছে। এবার তা সিআইএসএফ সামাল দেবে বলেই জানা গিয়েছে। এতে পিএসএসের ৪৯০ জন সরকারি কর্মীর কী হবে? তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, তাঁরা নিরাপত্তা স্পেশালিস্ট। অন্য কাজে পটু নন। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পিএসএসদের সংসদ সচিবালয়ের সাধারণ ক্লার্কের কাজে ব্যবহার করা হবে বলেই শোনা যাচ্ছে।