উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এ প্রসঙ্গেই ৪ নভেম্বর এক নির্দেশনামায় দেশের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) তাদের একাধিক বিধিবদ্ধ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এইসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ওষুধগুলির লেবেলের গায়ে স্পষ্ট ভাষায় লিখতে হবে, এগুলি খেলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ওষুধগুলির গায়ে লেখার জন্য দেশের সব রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলারকে জানিয়েছে সিডিএসসিও।
সংস্থার শীর্ষকর্তা তথা নবনিযুক্ত ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ইন্ডিয়া) ডঃ ভি জি সোমানি ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, ওইসব ওষুধ নিয়ে বাজারে প্রচার করার (প্রোমোশনাল লিটারেচার) পাশাপাশি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে। বিষয়টি এইসব ওষুধের নির্মাতা সংস্থাগুলিকেও জানাতে বলেছেন ডঃ সোমানি। যদিও এই সিদ্ধান্তকে ‘লোক দেখানো’ বলে অভিহিত করেছেন ওষুধ দোকানিদের অন্যতম সংগঠন অল ইন্ডিয়া কেমিস্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক জয়দীপ সরকার। তিনি বলেন, কোনও ওষুধের যদি কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, সেগুলিকে বাজারে রাখা কেন? কেন বাতিল করা হচ্ছে না? ওইভাবে লেবেলের উপর লিখে দেশবাসীর কী উপকার হবে? ওষুধের দোকানদারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এআইওসিডি’র রাজ্য শাখা বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সভাপতি শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, সম্পূর্ণ লোক দেখানো সিদ্ধান্ত। এসব ‘গিমিক’ ছাড়া কিছুই নয়। ক্ষতিকর মনে হলে এইসব ওষুধ বাজারে রাখা কেন? যদিও ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জনস্বার্থে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
ওষুধ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানবদেহের পাকস্থলীর মধ্যে প্রোটন পাম্প বা হাইড্রোজেন-পটাশিয়াম এটিপিএস পাম্প থাকে। এই পাম্পের মাধ্যমেই অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। তা থেকে হয় অ্যাসিডিটি, গ্যাস-অম্বল, আলসার ইত্যাদি। পিপিআই ওষুধগুলি এই পাম্পকে অকেজো করে অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়। এই পিপিআই ওষুধগুলির বাজার কয়েক হাজার কোটি টাকার। তাই এখনই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফার্মা-লবিকে চটাতে চাইছে না কেন্দ্র। চাপে রাখতে শুধুমাত্র বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের চেনা ফর্মুলা প্রয়োগ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে তারা। বিশিষ্ট ফার্মাকোলজিস্ট ডাঃ অঞ্জন অধিকারী বলেন, ওষুধ বাজারে আসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড হল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা মানুষের উপর গবেষণায় ছাড়পত্র। ভারতের মতো দেশে এই ধরনের ট্রায়ালের প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যখন সত্যি সত্যিই ব্যবহার শুরু হয়, তখনই বোঝা যায়, লাভের পাশাপাশি কী কী ক্ষতি হচ্ছে।