গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রাজারহাটের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদীর প্রাচীন একটি শাখা। দুপুরে শ্যালো মেশিন চালিয়ে ভেড়িতে জল তুলছিলেন মাছিভাঙার এক হ্যাচারির কর্মচারী নিমাই মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রায় প্রতি বর্ষাকালে গ্রামগুলি তলিয়ে যায়। পাশাপাশি নদী উপচে জল মাছচাষের জলাশয়গুলিতে ঢুকে পড়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন ভেড়ি মালিকেরাও। বর্গক্ষেত্র পাড়ার বাসিন্দা কেষ্ট মণ্ডল বলেন, ভারী বর্ষায় প্লাবিত জল পাথরঘাটা পঞ্চায়েত পর্যন্তও পৌঁছে যায়। সেই জল নামতে মাসখানেকের উপর সময় লাগে।
ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘ বছর ধরে রাজারহাটের বিদ্যাধরী নদী সংস্কার হয় না। নদী গভীরতা হারিয়েছে। ফলে টানা বৃষ্টিতে বিদ্যাধরীর জল উপচে লোকালয়ে ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। দিনকয়েক আগে চাঁদপুরের বাগুতে একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়ে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার জানিয়েছিলেন, প্লাবনের সময় আমরাই চাঁদপুরের মানুষের পাশে থাকি। আর তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, সমস্যা সমাধানে রাজারহাটের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছেন। বিধানসভার সেচবিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে মাছিভাঙায় বিদ্যাধরী নদী পরিদর্শনও করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের বক্তব্য, বিদ্যাধরী নদী সংস্কার দেখভালের দায়িত্ব সেচদপ্তরের। আমরা নদী পার্শ্ববর্তী রাস্তা ঢালাইও করেছি। আর চাঁদপুরে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী বিজেপির দাবি, বারাসত কেন্দ্রটিতে আমরা জিতলে, রাজারহাটের নদী প্লাবনের সমস্যা সংসদে নিয়ে যাব।