পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগানে ঝড় তুলেছিল তৃণমূল। সেই গানের পাল্টা হিসেবে ‘টুম্পা সোনা’, ‘টুনির মা’ সহ একাধিক গানকে প্যারোডি আকারে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বামেরা। শুধু ভোট নয়, বছরের পর বছর বাম আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল গণসঙ্গীত। ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের হাত ধরেই সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তারা। সেই গণসঙ্গীতের ধারা আজও অটুট বাম রক্তে। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পুরনো সেই গান ও পথনাটককে হাতিয়ার করেই ভোটের প্রচারে নেমেছে বামেরা। মঞ্চ বেঁধে নয়, সব বয়সি ভোটারদের মন পেতে মেঠো জায়গা, কিংবা গ্রামের হাটে গান-নাটক পরিবেশন করবেন বাম ছাত্র-যুবরা। মাটিতে বিছানো থাকবে ত্রিপল, মাথার উপরে ঝোলানো দু’-তিনটি বাল্ব। পাশে থাকবে সাউন্ড সিস্টেম। মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য এই পথকে বেছে নিয়েছে তারা।
‘পুতুল নেবে গো পুতুল’ গানটি রিমিক করে ‘ভোট নেবে গো ভোট, বিক্রি আছে...’। এমনই মোট সাতটি গানের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে থাকছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক বেনিয়মের ইস্যু। নাটক যাঁরা পরিবেশন করবেন, প্রত্যেকের হাতে থাকবে অভিনব প্ল্যাকার্ড। তা দিয়েই মানুষের মন জয় করা যাবে বলে আশাবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএমের নেতারা। এ বিষয়ে সারা ভারত ছাত্র ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সায়নী চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার আমরা প্রচারে অভিনবত্ব আনতেই গান ও পথনাটকের মাধ্যমে ভোটের প্রচার করছি। প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় শ্যুটিং করা হয়েছে। রেকর্ডিংয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুত প্রচারে নামব আমরা। ৭টি গান ও কথা মিলিয়ে ২৭ মিনিটের অনুষ্ঠান। সিএএ, নির্বাচনী বন্ড, কৃষকদের দুর্দশা ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতির বিষয়কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী, এতে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে। ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে ১৫-২০ জনের দল প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করবে।
উল্লেখ্য, বাম প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘মিথ’ ভাঙতে শুরু করেছে।