গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নাইটদের ম্যাচ মানে মহমেডান স্পোর্টিং মাঠের সামনে উপচে পড়া ভিড়। ঘোড়সওয়ার পুলিসের তেড়ে যাওয়া। সিএবি কর্তাদের চরম ব্যস্ততা। শুক্রবার তার কিছুই চোখে পড়ল না। হাজার চল্লিশ দর্শক মাঠে এলেই যথেষ্ট। তবে তাঁদের রসাস্বাদনের নানা উপাদান রয়েছে এই ম্যাচে। মিচেল স্টার্ক বনাম প্যাট কামিন্স গতির বিস্ফোরণে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। চোট সারিয়ে ফেরা শ্রেয়সের উপর থাকবে ক্যামেরার ফোকাস। গত কয়েক মাস ধরে তিনি খবরের শিরোনামে। বাদ পড়েছেন বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে। সামনে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে পালে হাওয়া টানার এটাই তো সেরা সুযোগ। আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিংদের সুইচ হিট কিংবা সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীদের রহস্য স্পিন মুহূর্তে বদলাবে ম্যাচের রং। আর তা গ্যালারিতে বসে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবেন খোদ শাহরুখ খান। কেকেআর দল সূত্রে যা খবর, ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসছেন কিং খান। তাঁর উপস্থিতি ইডেনের ম্যাচকে আরও রঙিন করে তুলবে। তারস্বরে বাজবে ‘ঝুমে জো পাঠান’। তালে তাল মিলিয়ে নাচবে গ্যালারি। এখনও বলিউড কাঁপাচ্ছেন কিং খান। হিট সিনেমা দিচ্ছেন। কিন্তু কেকেআরের ব্যর্থতায় তিনি বেশ হতাশ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফিরিয়ে এনেছেন গৌতম গম্ভীরকে। তাঁর নেতৃত্বেই দু’বার ২০১২ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাইট রাইডার্স। গোতি-ভাগ্যে কেকেআর তৃতীয় ট্রফির সন্ধান পায় কিনা তা সময় বলবে। তবে গম্ভীরকে মেন্টর পেয়ে দারুণ উজ্জাবিত নাইট শিবির।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডেনে নাইটদের অন্তিম মহড়া দেখে মনে হল, বেঙ্কটেশ আয়ারের সঙ্গে ফিল সল্টকেই ওপেন করতে দেখা যাবে। তিন ও চার নম্বর ভাগ করে নেবেন নীতীশ রানা ও শ্রেয়স আয়ার। পরের দিকে রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেলের মারকুটে ব্যাটিং ইডেনের রাতকে ক্রমশ মায়াবি করে তুলতে পারে। দুরন্ত ফর্মে আছেন বাঁ হাতি রিঙ্কু। দাদা-কাকা ধরে নয়, পারফরম্যান্সের সুবাদে সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি। রিঙ্কু ঝড় তোলা মানেই বিপক্ষের মৃত্যুঘণ্টা বেজে ওঠা। তাই কেকেআরের উদীয়মান তারকাকে দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরানোর পরিকল্পনা যে তাঁদের রয়েছে, তা জানাতে ভুললেন না সানরাইজার্সের ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স।
বিপক্ষ শিবিরে একঝাঁক তারকা পেসার। কামিন্সের পাশাপাশি ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক, নটরাজন, জয়দেব উনাদকাটও মাঠে নামার জন্য তৈরি। আর তাই স্লো টার্নার চেয়েছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। কিউরেটর যেন তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। উইকেটে ঘাসের চিহ্ন নেই। খেলা গড়ালে বল টার্ন করতে পারে। সেক্ষেত্রে সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে সুয়াশ শর্মাকেও খেলানো হতে পারে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠির মতো ভারতীয় ক্রিকেটাররা থাকলেও সানরাইজার্সের ব্যাটিং অনেক বেশি বিদেশি নির্ভর। অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো ট্রাভিস হেড, মারকুটে হেনরিখ ক্লাসেনরা একক দক্ষতায় নাইটদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে পারেন।