গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে সৌদি আরবের আভায় আফগানিস্তানকে হারাতে ব্যর্থ ভারত। ম্যাচের ফল গোলশূন্য। মনে রাখবেন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সুনীল ছেত্রীরা বিপক্ষের থেকে এক কিংবা দুই নয়, চল্লিশ ধাপ এগিয়ে। তাছাড়া আফগান ফুটবল ফেডারেশন এখন প্রবল অর্থাভাবে ভুগছে। প্রথম সারির একাধিক ফুটবলারকে রেজিস্ট্রেশনও করাতে ব্যর্থ তারা। তবুও ভারতকে তারা রুখে দিল। বর্তমানে একঝাঁক শ্রমিক শ্রেণির ফুটবলার ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলছেন। কে এই বিক্রম প্রতাপ সিং? তিনি কি স্ট্রাইকার? নাকি শরৎবাবুর দেবদাসের মতো মাঠে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ানোই তাঁর কাজ? উত্তর দেওয়ার লোক নেই। মিডফিল্ডাররাও তথৈবচ। নেই ঠিকানা লেখা ক্রস কিংবা ডিফেন্স চেরা থ্রু। চারটে স্কোয়ার পাসের পর ব্যাক পাস অথবা মিস পাস— এটাই স্টিমাচের দলের খেলার ধরন। তাই আমাদের বিশ্বকাপ খেলার আশা আর কুঁজোর চিত হয়ে শোওয়ার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
আফগানিস্তানের কোচ অ্যাশলে ওয়েস্টউড অতীতে বেঙ্গালুরু এফসি’তে ছিলেন। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তাঁর ধ্যান-ধারণা স্বচ্ছ। তিনি জানেন, চল্লিশ ছুঁইছুঁই সুনীলকে নিষ্প্রভ করে রাখতে পারলেই ভারত আর গোলের মুখ খুলতে পারবে না। আর সেটাই হল। স্টিমাচের ঝুলিতে প্ল্যান বি দেখতে পেলাম না। তাহলে বিরতির মূল্যবান সময়ে ক্রোট কোচ কী করলেন?
ম্যাচের পর সুযোগ নষ্টের অজুহাত দিয়েছেন মিস্টার স্টিমাচ। দিতেই পারেন। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা কি তা মানবেন? আফগানিস্তানকে হারাতে না পারা সত্যিই ভারতীয় ফুটবলে ব্ল্যাক লেটার ডে। লিস্টন কোলাসো এবং নাওরেম মহেশকে বেঞ্চে রাখা যুক্তিহীন। ৬১ মিনিটে রহমত আকবরি ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট না করলে স্টিমাচের লজ্জা আরও বাড়ত। থুড়ি, আমাদের। তাঁর আর কী? ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়িয়ে ক্রোয়েশিয়া ফিরে যাবেন। আর ভারতীয় ফুটবল পড়ে থাকবে বুকে এক চিলতে আশা নিয়ে।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের পরবর্তী রাউন্ডে ভারতের পৌঁছনো এখনও অনিশ্চিত। তবে তা হলে সুনীলদের ভাগ্যে একরাশ লজ্জা অপেক্ষা করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচটি ম্যাচে বিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ স্টিমাচের দল। তাহলে কেন বিদেশি কোচ পোষা? স্বদেশি কোচ রাখলে অর্থের অপচয় তো কমবে। ফেডারেশন এবং ক্লাব কর্তাদের কাছে একটাই অনুরোধ, ফুটবলার তুলে আনার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করুন। না হলে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি অসম্ভব।