গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অনেক আগেই আলবিদা জানিয়েছিলেন ধোনি। আইপিএলে তাঁর বিদায় রজনী নিয়ে অনেক রূপকথা লেখা হয়েছে। গতবারও তীব্র হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু তাতে জল ঢেলে পড়ন্তবেলায় চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করেন মাহি। এবারও তাঁর নেতৃত্বেই খেতাব রক্ষার লড়াইয়ে নামার কথা ছিল সিএসকে’র। শুক্রবার ঘরের মাঠ চিপকে প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এমন এক মহাম্যাচের দিকে তামাম ক্রিকেট দুনিয়ার নজর। কিন্তু ধোনির একটা সিদ্ধান্তে ক্যামেরার ফোকাস এখন শুধু তাঁর দিকে। হঠাৎই চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। দায়িত্ব সঁপলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। চব্বিশের আইপিএলে ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই সিএসকে শিবিরে যেন বিসর্জনের বিষাদ বয়ে এনেছে মাহির পদক্ষেপ। এই খবর সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীদের নানা প্রশ্ন, তাহলে কি রোহিত শর্মার মতোই ধোনিকেও নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল, নাকি নিজে থেকেই ফের সরে দাঁড়ালেন মাহি?
সন্ধ্যায় সিএসকে’র কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের বক্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০২২ সালে ধোনি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছিল, তখন কাকপক্ষীও টের পায়নি। আমরাও কিছুই জানতাম না। ওর সিদ্ধান্ত ছিল দলের কাছে বড় ধাক্কা। তবে এবার আমরা সকলেই জানতাম, ধোনি নেতৃত্ব ছাড়ছে। ভবিষ্যতের নেতা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। তাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঋতুরাজকে।’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ধোনি আর্ম ব্যান্ড তুলে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। কিন্তু দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ ক্রমশ পড়তে দেখে ফের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মাহি। সেই সিদ্ধান্তই পরের বছর চেন্নাই সুপার কিংসের পঞ্চম খেতাব জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিল। আসলে ধোনি এমন একজন ক্রিকেটার, যিনি শুধু ব্যাটিং ও কিপিংয়ে দলকে সাহায্য করেন না। তাঁর হিমশীতল মস্তিষ্ক এবং সময়োপোযোগী সিদ্ধান্ত বহু কঠিন বৈতরণী পেরোতে সাহায্য করেছে দলকে। তিনি যেন নিজেই এক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছেন। নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণাও বটে।
২০০৮ সাল থেকে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের নেতা হিসেবে পথচলা শুরু মাহির। মাঝে কিছুদিনের বিরতি। সিএসকে নির্বাসিত থাকায় অন্য দলের হয়ে খেলতে হয়েছিল মাহিকে। তবে সময়ের সঙ্গে চেন্নাই হয়ে উঠেছে মাহির সেকেন্ড হোম। দক্ষিণের রাজ্যটির ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ঋতুরাজ হয়তো টস করতে নামবেন, টিম লিস্টে তাঁর নামের পাশে লেখা থাকবে ক্যাপ্টেন। তবে দল পরিচালনার রিমোট থাকবে ধোনির হাতেই। আর আগামী আইপিএলে হয়তো সিএসকে’র কোনও নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। মাঠে না থাকলে কী হবে, চেন্নাই সুপার কিংসে আজীবন ‘নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন’ হয়ে থাকবেন মাহি।