গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চেন্নাই-বেঙ্গালুরু, দুই দক্ষিণী দলের লড়াইকে আইপিএলের ‘এল-ক্লাসিকো’ বলা হয়ে থাকে। তবে পরিসংখ্যানে পাল্লা ভারী মাহির দলেরই। মোট ৩১ ম্যাচের মধ্যে সিএসকে জিতেছে ২০ বার। আরসিবি শেষ হাসি হেসেছে মাত্র ১০ বার। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল। ধোনির নেতৃত্বে গতবারও খেতাব জিতেছে তারা। অন্যদিকে, বিরাট কোহলিরা প্রথম ট্রফির আশায় এখনও চাতক পাখির মতো চেয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, ২০০৮ সাল বাদে চিপকে ধোনিদের কখনও হারাতে পারেননি আরসিবি। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর মহিলা দল ডব্লুপিএল জেতায় পুরুষ দলের বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে। তাই এবার ট্রফির স্বাদ পেতে বদ্ধপরিকর ফাফ ডু’প্লেসিরা।
সিএসকে’র প্রধান শক্তি দলে একাধিক অলরাউন্ডারের উপস্থিতি। রাচীন রবীন্দ্র, রবীন্দ্র জাদেজা, শিবম দুবে, শার্দূল ঠাকুর, মিচেল স্যান্টনাররা ভরসা জোগাতে তৈরি। ব্যাটিং বিভাগে রয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, অজিঙ্কা রাহানে, ড্যারিল মিচেলরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আইপিএল শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে ঋতুরাজের কাঁধে নেতৃত্ব সঁপেছেন ধোনি। গুরুদায়িত্ব পালনে মুখিয়ে থাকবেন তরুণ ব্যাটার। তাছাড়া ঋতুরাজ ফর্মেও রয়েছেন। সম্প্রতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ড্যারিল মিচেলও রানের মধ্যে রয়েছেন। তবে অজিঙ্কা রাহানের ফর্ম চিন্তায় রাখছে। বোলিংয়ে চেন্নাইয়ের স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী। চিপকের ঘুর্ণি পিচে ফুল ফোটাতে তৈরি জাদেজা, স্যান্টনার, রাচীন, থিকসানারা। পেস বিভাগে অবশ্য শুরুর দিকে মাথিশা পাথিরানাকে পাচ্ছে না চেন্নাই। ডেথ ওভারে তাঁর অভাব ভোগাতে পারে দলকে। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে দীপক চাহার, শার্দূলকে।
পক্ষান্তরে, বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ বিরাট কোহলি। তবে ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে খেলার মধ্যে নেই তিনি। তাঁর দ্রুত ছন্দে ফেরার দিকে তাকিয়ে দল। এছাড়া ফাফ ডু’প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরাও ছন্দে আছেন। তবে বেঙ্গালুরুর স্পিন বিভাগ বেশ দুর্বল। শুরুর দিকে কয়েকটি ম্যাচে পাওয়া যাবে না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। হিমাংশু শর্মা, মায়াঙ্ক ডাগররা তেমন অভিজ্ঞ নন। তবে সিরাজ, ফার্গুসন, আকাশ দীপদের নিয়ে গড়া পেস বিভাগ বেশ শক্তিশালী।