পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
এদিন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, সদস্যতা অভিযান তৃণমূলের লাগে না। সারা বছর ধরে আমাদের সদস্য সাধারণ মানুষ। অন্তত মিসড কল দিয়ে সাধারণ মানুষকে সদস্য করতে হয়নি। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকেন। সেই উন্নয়ন দেখেই আমাদের পাশে থাকছেন।বিজেপি নেতারাই বলুন, মানুষের জন্য কী কাজ তাঁরা করেছেন। মানুষকে শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।উল্লেখ্য, অন্যান্য জেলার মতো মাসখানেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় জোরকদমে শুরু হয় বিজেপির সদস্যতা অভিযান। এলাকা ভিত্তিক নেতাকর্মীরা তো বটেই, পাশাপাশি বিজেপির রাজ্যস্তরীয় প্রথম সারির নেতাকর্মীরাও এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে অভিযান করলেও সাড়া মিলছে না সেভাবে। পাশাপাশি সদস্যতা অভিযানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় থেকেই সদস্যতা অভিযান নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। ভোট প্রচারের সময় বিজেপি নেতারা আলাপচারিতায় জানান, সদস্যতা অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ। কিন্তু উপ নির্বাচনে গোহারা হারে বিজেপি। এই ভরাডুবির পর থেকে সদস্যতা অভিযান লাটে ওঠে। বিজেপির নেতাকর্মীদের কথায়, বর্তমানে সদস্যতা অভিযানের টার্গেট নেওয়া হয়েছে দু’লক্ষের বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার ৫০ শতাংশ মানুষকে সদস্য করা সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে চিন্তায় জেলা নেতৃত্ব।
এক বিজেপি নেতা বলেন, দলীয় কর্মসূচি হলেও সদস্য সংখ্যা বাড়ছে না। বড় নেতারা সকলকে সদস্য হওয়ার কথা বলেই চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সংগঠন বাড়ানো বা গোষ্ঠী কোন্দল কমাতে কোনও উপদেশ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া অনেক বিজেপি নেতাই সদস্যতা অভিযানের মাধ্যমে সদস্য হননি। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। দল ক্ষমতায় না এলেও বিজেপির সকলেই নেতা হয়ে গিয়েছে। দলে কোনও অভিভাবক নেই।
এক তৃণমূল নেতা বলেন, যে মানুষকে সদস্য করছে, সেই মানুষই আমাদের ভোট দেবে। আবার ভোট এলেই বিজেপি কোটি টাকা খরচ করবে। এতেই খুশি বিজেপির নেতাকর্মীরা। গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির লোক নেই। শহরের সংগঠনও তলানিতে। কিন্তু সদস্য করতে পারলেই খুশি বিজেপি। হাসি পায়।
জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূল নিজেদের কোন্দল নিয়ে ভাবুক— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবে, না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সদস্যতা অভিযান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী।