কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত নব্বইয়ের দশকের একেবারে শেষের দিকে বাম আমলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য তৈরি হয় গুড়ুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। বর্তমানে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন একজন চিকিৎসক সহ তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নিয়মিত পাওয়া যায় না তাঁদের। উল্লেখ্য, চালু হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইমার্জেন্সি বা জরুরি বিভাগ কার্যকর থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এলাকাবাসী চিকিৎসা পরিষেবা থেকে একপ্রকার বঞ্চিতই থেকেছেন। তাঁদের ভরসা হারিয়েছে গুড়ুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। ফলে সাম্প্রতিক কালে মানুষ বাধ্য না হলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে চান না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা বান্দোয়ান ব্লক হাসপাতালে যান। তাছাড়াও, ভবনের বেহাল দশা, হাসপাতাল চত্বরজুড়ে জঙ্গলাকীর্ণ পরিবেশ, বিষধরের আড্ডায় কেউ যেতে খুব একটা সাহসও পান না। অন্ধকার নামতেই গোটা চত্বর মদ, গাঁজা আর যাবতীয় অসামাজিক কাজকর্মের ডেরায় পরিণত হয় বলেও অভিযোগ। ওই এলাকার বাসিন্দা, স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু গড়াই, মকর মাহাত বলেন, প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই জমি দান করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকও নিয়মিত আসেন না। এলেও দুপুর ১২টার মধ্যেই তিনি চলে যান। প্রশাসন কার্যত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকান না। তাঁরা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এরকম অবস্থাতেই রয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুজিত কীর্তনীয়া বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবা কিছু পাওয়া যায় না। কোনও স্টাফ এখানে থাকেন না। দেওয়ালও ভাঙা। আউটডোর চলার সময়টুকুতে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেখি না। তবে আউটডোর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কারা আসেন সে বিষয়ে জানি না। একজনও নার্স নেই এখানে। প্রায় ২৮ বছর ধরে শুনেছি জরুরি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের নিয়মিত না আসার অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।
এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এরকম অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং অন্যান্য দপ্তর মিলে ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিকাঠামগত যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।