কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ওই ওয়ার্ডের আম্বেদকর কলোনি, শালবাগান, বিরভাপুর ও গোপীনাথপুর মৌজার একাংশের বাসিন্দারা রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। রেল কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় রেললাইন সহ বেশকিছু প্রকল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো প্রায় দেড় বছর আগেই ওই বস্তিবাসীদের রেল জমি ছেড়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সেই সময়ও এলাকাবাসী পুনর্বাসনের দাবি করে আন্দোলন করেন। ওই ঘটনার পরে রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, হঠাৎই রেল কর্তৃপক্ষ সোমবার মাইকিং করে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। রেলের জমিতে গড়ে ওঠা বাড়ি ভাঙার জন্য লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। এদিন সকালে এলাকাবাসী জমায়েত করে উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, আগে পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। তাঁদের সঙ্গে শামিল হয় পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি বিধায়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা উমাদেবী সিং ও প্রদীপ শাহ বলেন, আমরা এই এলাকায় প্রায় ৫০বছর বসবাস করছি। আমাদের পাট্টা আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ আছে নিজেদের নামে। আমাদের রেল কর্তৃপক্ষ উঠে যেতে বলেছে। আমাদের দাবি, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দিতে হবে। তা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতা সূর্যকান্ত ঘোষ বলেন, রেল আগে বলেছিল এই এলাকায় ৯০ ফুট জায়গা নেবে। এখন বলছে ১৯০ ফুট জায়গা আছে। হঠাৎ করে বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ১৪৮টি পরিবারকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, আমরা আসানসোল ডিআরএমের সঙ্গে গতমাসে বৈঠক করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করেই প্রকল্পের কাজ হবে। হঠাৎই কিছু মানুষ মাইকিং করে উস্কানিমূলক কাজ করেছে। দু’পক্ষের আমিন উপস্থিত থেকে জমি মাপার কাজ শুরু হবে। পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার জমি দেবে। আর আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি বানিয়ে দেব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলের আ্যসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার(দুর্গাপুর) জেকে রাজ বলেন, রেলের জমিতে বাড়ি থাকলে পুনর্বাসন হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। রেল নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করলে সেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।