কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
গত ৩ডিসেম্বর মালদহের কালিয়াচক থেকে দু’লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়। এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃতের বাড়ি দিল্লিতে। এছাড়া রাজ্যে আরও কয়েকটি জায়গা থেকে জালনোট সহ কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার হয়। তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা এমন তথ্য পেয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা দিতে বিপুল পরিমাণ জালনোট ঢোকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেইমতো গোয়েন্দারাও প্রস্ততি নিয়েছেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার করিডরগুলিতে গোয়েন্দাদের বিশেষ দল ওঁত পেতেছে।
এক আধিকারিক বলেন, আগে বাংলাদেশ পুলিসও জালনোটের বিরুদ্ধে অভিযান চালাত। তিন বছর আগে পাকিস্তান থেকে আসা একটি কন্টেনার থেকে চার কোটি টাকার জালনোট উদ্ধার করে। সিন্ডিকেট ভাঙতে একটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের তারা ইনপুট দেয়। এখন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান যৌথভাবেই জালনোট তৈরি করছে। এদেশের দিল্লি, তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ এবং রাজস্থানের অবৈধ কারবারিদের সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছে। দিল্লির এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা চক্রের কয়েকজনের নাম জেনেছেন।
আধিকারিকদের দাবি, এখন পাচারকারীরা জলের দরে জালনোট বিক্রি করছে। একসময় এক লক্ষ টাকার জালনোট তারা ৪৫-৫০হাজার টাকায় তারা বিক্রি করত। এখন তা ২০-২৫হাজার টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ৫০০টাকার নোট তারা বেশি সংখ্যায় জাল করছে। দেশের সমস্ত প্রান্তে জালনোট ছড়িয়ে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। সেকারণেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেই কারখানা গড়ে তুলেছে। আর এক আধিকারিক বলেন, যে কোনও ছোট ঘরেই জালনোট তৈরি করা যায়। ছোট মেশিনের মাধ্যমেই জালনোট তৈরি হয়। আসল নোটের ১২টি বৈশিষ্ট্য তারা নকল করে ফেলছে। সেকারণে আসলের সঙ্গে নকলের ফারাক বোঝাই অনেকের পক্ষে দায় হয়ে উঠছে। আগে কালো কারবারে জালনোট ব্যবহার করা হতো। এখন ছোট ছোট বাজারগুলিতেও এধরনের জালনোট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে আনসারুল্লা বাংলা টিম বা অন্য জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকা রয়েছে কি না সেটাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।