কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ঝালদা-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা স্বরূপ পান্ডা বলেন, অত্যাধুনিক এই ড্রোন চাষিদের অনেকরকম কাজে লাগবে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষকরা অল্প সময়ে বিশাল এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, একদিনে প্রায় ৩০ একর জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে। অত্যাধুনিক এই যন্ত্রটির দাম প্রায় সাত লক্ষ টাকা হলেও কেনার সময় ৫০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন চাষিরা। কৃষকরা চাইলে একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে এই ড্রোন ক্রয় করার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই যন্ত্র ভাড়াতেও পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিন জমিতে কৃষিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পাটঝালদা গ্রামের চাষি প্রবীর কুইরী, ভীম লায়া প্রমুখ বলেন, কৃষিকাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী এই ড্রোন প্রযুক্তি। খুব কম সময়ে অনেক বড় জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা যাবে। স্প্রে করতে গিয়ে সাপের কামড় থেকেও বাঁচা যাবে। ধানজমিতেও স্প্রে করতে সুবিধা হবে। তবে সমস্যা হল যন্ত্রটির দাম অনেক বেশি। এত টাকা দিয়ে ওই যন্ত্র কিনে ছোট কৃষকদের বিশেষ সুবিধা হবে না। এক বা দু’বিঘা জমিতে স্প্রে করার জন্য এত দামি যন্ত্র কেনা সম্ভব নয়। তবে ভাড়ায় পাওয়া গেলে অনেক উপকার হবে। এবিষয়ে কৃষিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছেন আধিকারিকরা। এই যন্ত্র ভাড়ায় নিয়ে ব্যবহার করতে পারলে এলাকার চাষিরা উপকৃত হবেন বলে আশা বাসিন্দাদের।