গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় তমলুক শহরে নিয়ম না মেনে ফ্ল্যাট তৈরির জন্য এমনই রায় দিয়েছেন। ২০হাজার ৮১৭বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে সাতটি ব্লক তৈরি করা হয়। বেসমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের প্ল্যান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। বেসমেন্ট ছাড়াই সাততলার বিল্ডিং হয়েছে। নির্ধারিত আয়তনের বেশি এলাকাজুড়ে বহুতল নির্মাণ হয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বর্তমানে তমলুকের আবাসবাড়ি এলাকার বিপ্লব দাস এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। বিপ্লববাবু ফ্ল্যাট বুকিংয়ের জন্য প্ল্যান হাতে নিয়ে জানতে পারেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ হয়নি। এরপর তিনি দু’দফায় পুরসভায় এনিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু, পুরসভা বিষয়টিতে কর্ণপাত করেনি। তাই তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এখন প্রায় দেড়শো পরিবার ওই ফ্ল্যাটে থাকে। কেউ কেউ শহরে বাড়ি বিক্রি করে ফ্ল্যাটে এসে উঠেছেন। হাইকোর্ট বহুতল ভাঙার নির্দেশ দিতেই তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি কর্মী, ব্যবসায়ী সহ নানা পেশার মানুষজন এখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন। অধিকাংশ ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনে এখন আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সৌমিত্র মাহাত বলেন, ২০১৭ সালে এই বহুতলের প্ল্যান অনুমোদন হয়। আমরা ২০২০ সালে ফ্ল্যাট কিনেছি। কাগজপত্র চেকিং করার সময় দেখেছি, সব ঠিক আছে। কিন্তু, এটা নিয়ে যে মামলা চলছিল সেটা জানা ছিল না। বিল্ডার্সরাও বিষয়টি গোপন করেছেন। আদালতের রায়ে আমরা হতবাক। আমরা নিজেদের প্রতারিত মনে করছি। আমরা প্রমোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাঁরা আসব বলে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তথা তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ্তকুমার মাইতি বলেন, আমরা খুব আতঙ্কিত। সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করব। আমরা ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেয়েছি। ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনও হয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সংযোগ দিয়েছে। মিউটেশনও দিয়েছে। কীভাবে এটা হল জানি না।