গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
এবারের নির্বাচনে মালদহ উত্তরে বাম-কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের ভূমিপুত্র মোস্তাক আলম। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন তাজমুল। তাঁর গড়ে শাসকদলের বাড়তি অ্যাডভান্টেজ থাকবে। ফলে এখানে তৃণমূলের সঙ্গে জোর টক্কর হবে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর। কংগ্রেসের দাবি, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলকে হরিশ্চন্দ্রপুরে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বাম- কংগ্রেসের কাছে। মন্ত্রীর ভাই সামিউদ্দিন রহমান এবং মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আফজাল হোসেনকে জেলা পরিষদ আসনে কংগ্রেস পরাজিত করে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে জোট। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এই এলাকার মানুষ জোটমুখী।
তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর আসন তৃণমূল ছিনিয়ে নেয়। তিন নম্বরে নেমে যায় কংগ্রেস। হরিশ্চন্দ্রপুরে ৭৭ হাজার৪৭৩ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল জেতে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী তাজমুল বলেন, মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সুবিধা পেয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ উন্নয়নে আস্থা রেখেছেন। বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৃণমূল একমাত্র বিকল্প। এখানে কংগ্রেস থেকে প্রায় ৮ হাজার এবং বিজেপি থেকে ৩০ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে থাকবে।
যদিও বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মোস্তাক বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে এনআরসির হাওয়ায় তৃণমূল জিতেছিল। সেই হাওয়া আর নেই। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে কংগ্রেস এগিয়ে থাকবে। দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে পারে কংগ্রেস এটা মানুষ বুঝেছে।
বিজেপির মালদহ উত্তর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হরিশ্চন্দ্রপুরে যে ভোট পেয়েছিল তার সঙ্গে এবার প্রায় এক শতাংশ যোগ হবে। এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই। তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর নয়।