উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
হুড়োহুড়ি পড়ে গেল অন্যতম আবেদনকারী রামলালা বিরাজমানের প্রতিনিধি, আইনজীবীদের সঙ্গে সেলফি তোলার। স্মার্টফোনে অনেকে তুলে গেলেন ভিডিও রেকর্ডিং। এমনকী নিয়ম অমান্য করে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে না পেরে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে পিছনে রেখে সেলফিও তুলতে দেখা গেল কয়েকজনকে। ততক্ষণে রায়দান হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের অফিসারদের পক্ষ থেকে এদিন সকালেই বলে দেওয়া হয়, কেউ কোর্টরুমের ভিতরে মোবাইলে ছবি তুলবেন না। কিন্তু ভিড়ে কে আর তা খেয়াল রাখছে ভেবে সেলফি তুললেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও শনিবার অযোধ্য মামলার রায়দান হবে, গতকাল রাতে এ কথা জানার পরেই কৌতুহল বাড়তে থাকে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন সকাল থেকেই গোটা সুপ্রিম কোর্টের রাইরের অংশ নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়। নিয়ন্ত্রণ করারও চেষ্টা চলে আদালতের মধ্যে প্রবেশের। কিন্তু সাংবাদিক, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী এবং আইনজীবীদের ভিড়ে উপচে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাস। তিল ধারনের জায়গা ছিল না। তিনটি দরজার কোনওটিই বন্ধ করা যায়নি। এজলাসের বাইরেও ছিল ভিড়।
তারই মধ্যে ঘড়ির কাঁটা ১০ টা ২৭ মিনিট। এজলাসে এসে পৌঁছন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি তথা পরবর্তী প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি আবদুল নজির। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বসে। গোড়াতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্লিজ কিপ সায়লেন্স।’ সামনে রাখা ব্রাউন পেপারের খাম থেকে তিনি বের করেন রায়ের কপি। সর্বসমক্ষে তাতে প্রথমে সই করেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এরপর একে একে অন্য চার বিচারপতি সই করেন সর্বসম্মত রায়ে।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এবার আমি রায় পড়ছি। রায়দানে এক একটি পাতা তিনি উল্টেছেন আর উপস্থিত আইনজীবী, সাংবাদিক এবং মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে কৌতুহল বেড়েছে। অপেক্ষা চলতে থাকে আদতে শেষে কী বলে রায় শেষ করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, তার। সাড়ে দশটা থেকে বেলা ১১ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত রায় পড়ে বেঞ্চ উঠে যেতেই রাম মন্দির তৈরির পক্ষে কয়েক দশকের অপেক্ষমান অংশের প্রতিনিধিদের উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বর। পরিচিতদের রায়ের কথা জানানোর পাশাপাশি অনেককেই বলতে শোনা গেল, কী বলেছিলাম, রামমন্দির হচ্ছেই!