বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিশাল পুঁজি নিয়েও জিততে অবশ্য বেগ পেতে হল সানরাইজার্সকে। দারুণ লড়াই করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওপেনিং জুটিতে বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু’প্লেসি যোগ করেন ৮০ রান। কোহলি ৪২ রানে ডাগ-আউটে ফেরেন। ডু’প্লেসির সংগ্রহ ৬২। তারপর ধস নামে আরসিবি’র ব্যাটিংয়ে। মনে হচ্ছিল সহজেই জিতবে সানরাইজার্স। কিন্তু বুড়ো হাড়ে ঝড় তুললেন দীনেশ কার্তিক। ৩৫ বলে তাঁর সংগ্রহ অনবদ্য ৮৩। দলকে জেতাতে না পারলেও তাঁর অভিনব শট সমর্থকদের মন জিততে সফল। আরসিবি’র লড়াই থামে ৭ উইকেটে ২৬২ রানে। সাতটি খেলে মাত্র একটিতে জয়। পয়েন্ট তালিকায় কোহলিরা এখন লাস্ট বয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়েই বড় রানের ভিত গড়েছিলেন অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস। আট ওভারে দু’জনে যোগ করেন ১০৮ রান। অভিষেক (২২ বলে ৩৪) ফেরার পর হেনরিখ ক্লাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ট্রাভিস। দ্বিতীয় উইকেটে ২৬ বলে তাঁরা তোলেন ৫৭। ট্রাভিসের সেঞ্চুরি আসে ৩৯ বলে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৮টি ছয়। ২৪৮.৭৮ স্ট্রাইক রেটে আরসিবি বোলারদের শাসন করেন অজি ওপেনার। ক্লাসেন (৩১ বলে ৬৭), আইডেন মার্করাম (১৭ বলে অপরাজিত ৩২), আব্দুল সামাদরাও (১০ বলে অপরাজিত ৩৭) ঝড়ের গতিতে রান তোলেন। ক্লাসেনের পঞ্চাশ আসে ২৩ বলে। এদিন সানরাইজার্সের ব্যাটাররা মোট ২২টি ছয় মারেন। এটাও আইপিএলে রেকর্ড।
আরসিবি এই ম্যাচে প্রথম এগারোর বাইরে রেখেছিল সিরাজ, ম্যাক্সওয়েল, গ্রিনকে। তবে লকি ফার্গুসনকে দলে এনেও লাভ হয়নি। আরসিবি বোলিংয়ের দৈন্যদশা প্রকট হয়ে ওঠে ট্রাভিস, ক্লাসেনদের দাপটে।