গুয়াহাটি: কয়েক দশক ধরে অসম কংগ্রেসের পরিচিত মুখ ছিলেন আদিবাসী নেতা ভরত নারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ছিন্ন করলেন নাওবয়সার বিধায়ক। আসন্ন লোকসভা ভোটে তাঁর স্ত্রীকে লখিমপুরে প্রার্থী করতে রাজি হয়নি কংগ্রেস। সেই কারণে রবিবার থেকেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন নারা। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, ভরতের স্ত্রী রানি নারা তিন বার লোকসভা ও এক বার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবারে তিনি লখিমপুর আসনে টিকিট পাবেন বলে ধরে নিয়েছিলেন। তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তাতেই গোঁসা হয়েছে দম্পতির। রবিবার ভরত প্রথম অসম প্রদেশ কমিটির মিডিয়া সেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তখন থেকে তিনি প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। তারপরই বিজেপি শিবিরে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। পাঁচ বারের বিধায়ক ভরত প্রথম জয়লাভ করেন ১৯৮৫ সালে দকুয়াখানা আসনে। ২০১১ সাল পর্যন্ত সেই কেন্দ্রেরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। পাঁচ বারের মধ্যে একবার অসম গণপরিষদ ও একবার নির্দল হিসেবেও জয়লাভ করেছিলেন। তরুণ গগৈ মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় কংগ্রেসের মন্ত্রীও ছিলেন ভরত। উল্টোদিকে তাঁর স্ত্রী রিনা ইউপিএ-র আমলে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮, ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে তিনি লখিমপুর আসন থেকে জয়লাভ করেন। পরে রাজ্যসভার সদস্যও হন। তবে আসন্ন নির্বাচনে
ওই আসনে কংগ্রেস রিনাকে টিকিট না দিয়ে উদয় শঙ্কর হাজারিকাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। উদয়শঙ্করও গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে টিকিট দেওয়ায় তাই দলের অন্দরে একাংশের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।