নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে কঙ্গনা রানাওয়াতকে আক্রমণ ঘিরে বিতর্কে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত। রবিবারই হিমাচলের মান্ডি আসনে অভিনেত্রী কঙ্গনাকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কঙ্গনা ও গেরুয়া শিবিরের তোপের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের মহিলা নেত্রী। প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই আপত্তিকর পোস্ট সুপ্রিয়া মুছে ফেলেন। সেইসঙ্গে জানান, এ ধরনের পোস্ট তিনি নিজে দেননি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস বেশ কয়েকজনের কাছে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ তাঁর অজ্ঞাতেই ওই পোস্ট করে ফেলেছেন। বিষয়টি জানার পরই ওই পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনও মহিলা সম্পর্কে এধরনের ব্যক্তিগত ও অভব্য মন্তব্য আমি কখনওই করি না।’ সুপ্রিয়া আরও বলেছেন, তাঁর নামে একটি প্যারোডি অ্যাকাউন্টে ওই পোস্ট করা হয়। সেখান থেকেই কেউ তা কপি করে তাঁর ইনস্টা ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে দেয়। কিন্তু সুপ্রিয়ার এই সাফাইয়ে চিঁড়ে ভেজেনি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীই কঙ্গনাকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছেন। অভিনেত্রীকে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সুপ্রিয়ার পোস্ট মহিলাদের সম্পর্কে অবমাননাকর বলেও দাবি করেছে তারা। আসরে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। এধরনের মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস ও তাদের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়। একই দাবি জানিয়েছে বিজেপিও। এরপরই অবশ্য বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেন সুপ্রিয়া।
সোমবার কঙ্গনার একটি খোলামেলা ছবি পোস্ট করা হয় সুপ্রিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে। ক্যাপশনে ছিল অশালীন মন্তব্য। এরপরই গর্জে ওঠেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘বদ্ধমূল ধারণার শৃঙ্খল থেকে মহিলাদের মুক্ত করতে হবে। আর সবচেয়ে বড়কথা, গালিগালাজের জন্য যৌনকর্মীদের টেনে নিয়ে না আসাই ভালো। প্রত্যেক মহিলাই মর্যাদার দাবিদার।’ গুজরাতের এক কংগ্রেস নেতাও তাঁর সম্পর্কে একই ধরনের অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কঙ্গনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনাকে এধরনের কুরুচিকর আক্রমণের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিও। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা মঙ্গলবার দলের অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। কংগ্রেস ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেখা। এরইমধ্যে অশ্বিনী বৈষ্ণব, ওম পাঠক ও বিনোদ তাওড়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কঙ্গনা সম্পর্কে ওই মন্তব্যের জন্য সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়।