কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
সম্প্রতি প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন কপিল সিবাল সহ জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁদের দাবি ছিল, ক্ষয়িষ্ণু সংগঠনের হাল ফেরাতে দ্রুত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হোক। তাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বেসামাল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে এদিন কী হয়, সেদিকে চোখ ছিল রাজনৈতিক মহলের। চার ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে কার্যত জি-২৩ গোষ্ঠীর বেসুরো নেতাদেরই স্পষ্ট বার্তা দেন সোনিয়া। বৈঠকের সূচনা ভাষণে তিনি বলেন, ‘সব সদস্যই দলের পুনরুজ্জীবন চাইছেন। তবে, একতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ছাড়া তা সম্ভব নয়। পার্টির স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখতে হবে। আপনারা আমাকে বলার অনুমতি দিলে বলব, আমিই কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী। চলুন, সবাই মিলে সততার সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করি। কিন্তু, এই ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে শুধু ওয়ার্কিং কমিটিতে নেওয়া সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের কথা বলা উচিত।’ তবে সোনিয়ার ভাষণে মোটেও সন্তুষ্ট নন বিদ্রোহীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্রোহী স্পষ্ট বলেন, কংগ্রেসের সম্পূর্ণ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন সোনিয়া ও তাঁর দুই সন্তান। এজন্যই সাংগঠনিক নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন হলেও, তা যথাযথ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, এখন সোনিয়া গান্ধীর হাতে দায়িত্ব আর তাঁর দুই সন্তান (রাহুল-প্রিয়াঙ্কা) কর্তৃত্ব ফলাচ্ছেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দলটাকেই ঘেঁটে দিচ্ছেন তাঁরা।
জি-২৩ নেতারা যেভাবে প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন, এদিন তা নিয়েও পরোক্ষে বার্তা দেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত, এরকম কোনও বিষয়ই আমরা এড়িয়ে যাইনি। আপনারা জানেন, এইসব বিষয়গুলি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তুলেছি। কথা বলেছি ডঃ মনমোহন সিং ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। সম মনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গেও আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি।’
বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাকের ডগায় বিধানসভা ভোট। এপ্রসঙ্গে এদিন সোনিয়া বলেন, ‘আমরা একত্রে, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ও দলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে লড়তে পারলে ভালো ফল হবে। এব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’ পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদি সরকার ও শাসক দল বিজেপিকেও এদিন তুলোধোনা করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, তিনটি কালা (কৃষি) আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বছর ধরে কৃষকরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। লখিমপুর খেরির হিংসায় কৃষক মৃত্যু নিয়েও সোচ্চার হন তিনি। বলেন, ‘লখিমপুরের ওই ঘটনা বিজেপির মানসিকতা তুলে ধরছে। দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির পুনরুজ্জীবনে সরকারের একমাত্র সমাধান জাতীয় সম্পত্তিগুলি বিক্রি করে দেওয়া। এই সরকারের একটাই লক্ষ্য— বেচে দাও, বেচে দাও, বেচে দাও।’ জম্মু ও কাশ্মীরে হঠাৎ করে খুনোখুনির ঘটনা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সোনিয়া। সমালোচনা করেছেন মোদি সরকারের বিদেশনীতিরও। ছবি: পিটিআই