ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
দলে কেন হার্দিক?
গত অক্টোবরে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে শেষবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন হার্দিক। গোড়ালির চোট সারিয়ে আইপিএলে খেলছেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি মুম্বইয়ের অধিনায়ক। তবু তাঁকে বিশ্বকাপের দলে সহ-অধিনায়ক করা নিয়ে অজিত আগরকর বলেন, ‘হার্দিক এখন সম্পূর্ণ ফিট। তাই ওকে দলে ফেরানো হয়েছে। সত্যি বলতে কী, এই মুহূর্তে ওর কোনও বিকল্প আমাদের হাতে নেই। হার্দিকের অলরাউন্ড দক্ষতার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
রিঙ্কু ও শুভমানের বাদ পড়া
গত বারের আইপিএলের পর থেকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত ছিলেন রিঙ্কু সিং। ১৫টি ম্যাচে ৩৫৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৮৯। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৪। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে জিতিয়েছেন। ভারতীয় দলের নতুন ফিনিশার বলা হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি। এই প্রসঙ্গে আগরকর বলেন, ‘এটাই আমাদের আলোচনার সব থেকে কঠিন বিষয় ছিল। রিঙ্কুর কোনও দোষ নেই। ওর জন্য আমাদের খারাপ লাগছে। কিন্তু সবটাই দলের ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখেই ওকে বাদ দিতে হয়েছে।’ রোহিতকে বেশি বিকল্প দিতে গিয়েই রিঙ্কুকে দলে রাখা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দলে দু’জন রিস্ট স্পিনার রয়েছে। এতে রোহিতের হাতে বিকল্প বাড়বে। আর সেটা করতে গিয়েই রিঙ্কুকে রিজার্ভ লিস্টে পাঠাতে হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ একই কারণে শুভমান গিলকেও দলে রাখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচক প্রধান।
বেশি স্পিনার চেয়েছিলেন রোহিত
বিশ্বকাপের দলে থাকা ১৫ জন ক্রিকেটারকেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক বলেন, ‘টুর্নামেন্ট যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায়, সেটা মাথায় রেখে দলে বেশি স্পিনার চেয়েছিলাম। সুযোগ পাওয়া চার স্পিনারের মধ্যে দু’জন ভালো ব্যাটও করতে পারে। আর হার্দিক চতুর্থ পেসারের কাজ সামলাবে। এই কম্বিনেশনে হাতে বিকল্প বেশি থাকে। যেমন পরিবেশ পরিস্থিতি থাকবে তেমন দল খেলবে।’
শিবম দুবের আগমন
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন শিবম দুবে। তাঁকে নিয়ে রোহিত বলেন, ‘শিবম আইপিএলে ভালো ফর্মে রয়েছে। মাঝের ওভারে বড় শট খেলছে। এই দক্ষতার জন্যই ওকে দলে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, বিশ্বকাপেও শিবম ভালো খেলবে।’ উল্লেখ্য, ২ জুন শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৫ জুন। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। ৯ জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন রোহিতরা।