পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
গোটা ঘটনায় মেজাজ হারান সুকান্ত। তৃণমূল কর্মীদের দিকে তিনি কিছুটা উত্তেজিতভাবে এগিয়ে যান বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিসের সঙ্গেও বচসায় জড়ান তিনি। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পতিরামে। এরপর গঙ্গারামপুরে গিয়ে প্রায় বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট পরিচালনা করেন সুকান্ত। একটি হোটেলে দীর্ঘক্ষণ নেতৃত্বের সঙ্গে বসে শলাপরামর্শ করেন। মাথায় যে পাহাড়প্রমাণ চাপ ছিল, সেটা এই ঘটনা থেকেই কার্যত স্পষ্ট।
সুকান্তর সমস্যা শুরু হয় সকালে ভোট দিতে গিয়ে। সকাল সাড়ে আটটায় সস্ত্রীক বালুরঘাট শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৮ নম্বর বুথে ঢোকেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর না জানায় তিনি বেরিয়ে যান। পরে সিরিয়াল নম্বর খুঁজে ভোট দেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, সিরিয়াল নম্বর চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে স্লিপ দিয়েছিল। কিন্তু আনতে ভুলে গিয়েছিলাম।
সুকান্তর জন্য ভোটে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে বিরক্তি প্রকাশ করেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। এই বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও করছিলেন বিজেপির এক মহিলা কর্মী। তাঁর দাবি, সুকান্তকে তৃণমূল কীভাবে হেনস্তা করছে, তারই ভিডিও করছিলেন তিনি। অভিযোগ, ভিডিও রেকর্ডিং করার সময় তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী, ‘তুই কি রিপোর্টার’? বলে চিৎকার করে থাপ্পড় মারেন বিজেপির ওই মহিলা কর্মীকে। এনিয়েই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই তপন বিধানসভার পতিরামের বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায়কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে সুকান্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা।
সুকান্তর অভিযোগ,পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল ওই ঘটনার সময়। বিজেপির মহিলা কর্মীকে গালিগালাজ করা হয়েছে। সেই বিক্ষোভের ভিডিও মোবাইলে বন্দি করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেন সুকান্তবাবু।
এবিষয়ে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী বলেন, আমাদের নেতাকে মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছে। পুলিস পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল। কমিশনে নালিশ জানিয়েছি। অনেক জায়গায় তৃণমূল বুথ জ্যাম করে ভোটারদের প্রভাবিত করে ও ভয় দেখায়।
তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র পাল্টা বলেন, বিজেপি প্রার্থীর বুথে মারধরের অভিযোগ পাইনি। পতিরামে একটু ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু মারধর হয়নি। সুকান্ত মজুমদারই গোলমাল করার চেষ্টা করেছেন।
বালুরঘাট ছেড়ে এদিন দিনভর গঙ্গারামপুর মহকুমায় ঘুরে বেড়ান সুকান্ত। গঙ্গারামপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে কাদিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে রাজ্য পুলিস ঢুকে ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। সুকান্তবাবু সেখানে গিয়ে স্পেশাল অবজার্ভারকে ফোন করে অভিযোগ জানান। পরে তিনি হরিরামপুর, কুশমণ্ডি ও বংশীহারিতেও যান।