পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এই অভিজ্ঞতা বেসরকারি ক্ষেত্রের বহু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরই। বিপদ-আপদে লম্বা ওয়েটিং ও খরচের বহরের জন্য প্রথম বিশ্বের বহু অনাবাসীই ডাক্তার দেখাতে ছুটে আসছেন সেই ভারতেই। নিজের শহরেই। বেসরকারি ক্ষেত্র সূত্রের খবর, হার্ট অপারেশন, হাঁটু-কোমরের ব্যথা, চোখ ও দাঁতের রোগভোগ, নি ও হিপ রিপ্লেসমেন্ট, অটো ইমিউন ডিজিজ-সহ অসংখ্য সমস্যায় অনাবাসীরা চলে আসছেন নিজের শহরে। কারও বাবা-মা এখানে থাকেন, কারও অন্য আত্মীয়স্বজন। তাঁদের দেখতে আসার ফাঁকে নিজের জরুরি চিকিৎসা করিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বিদেশে।
ডাক্তার দেখাতে, অপারেশন করাতে বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশ থেকে আসার কারণ আলাদা। তুলনামূলকভাবে ভারতের উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা। সেখানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির ক্ষেত্রে কারণটি পৃথক। চিকিৎসকরা জানালেন, সবচেয়ে বেশি রোগী তাঁরা পাচ্ছেন ব্রিটেন, আমেরিকা, দুবাই, আবুধাবি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড এইসব জায়গা থেকে। বিশিষ্ট ফিজিশিয়ান ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, এই তো ক’দিন আগে এক রোগী দুবাই থেকে এসে দেখিয়ে গেলেন। প্রায়ই এমন রোগী পাই।
বেসরকারি ক্ষেত্র সূত্রের খবর, প্রথম বিশ্বের দেশ, যেমন ব্রিটেনে বেসরকারি জায়গায় কনসালটেন্টকে দেখাতে কমপক্ষে ২৫০ পাউন্ড খরচ হয়। ভারতীয় মুদ্রা ২৫ হাজার টাকা! জায়গা ভেদে ৫০০, এমনকী এক হাজার পাউন্ড পর্যন্তও খরচ হয়। মানে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা!
দেশের প্রথম সারির হার্ট সার্জেন ডাঃ সুধাংশু ভট্টাচার্য বলেন, দুবাই থেকে বহু রোগী আসছেন। আসেন অস্ট্রেলিয়া থেকেও। সবারই আদি বাড়ি ভারতে। ওখানে যতই উন্নত চিকিৎসা হোক না কেন, খরচ বলুন বা নিজের জায়গার ডাক্তারবাবুর উপর ভরসা—চিকিৎসা করাতে অনেকেরই এখন পছন্দের জায়গা ভারত।
চিকিৎসকরা জানালেন, প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে বিমা না থাকলে সবচেয়ে বেশি মানুষ বিপদে পড়েন আমেরিকায়। সেখানে প্রাইভেটে হার্ট সার্জারি করাতে খরচ পড়ে প্রায় ১ লক্ষ ডলার—ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩-৮৪ লক্ষ টাকা!
সূত্রের খবর, ভারতের যেমন ইন্টার্নশিপ আছে, ব্রিটেনে তাঁদের বলা হয় সিপি-১, সিপি ২ বা কোর মেডিক্যাল ট্রেনিং ১ এবং ২। পরের ধাপে আছেন রেজিস্ট্রার বা স্পেশালিস্ট রেজিস্ট্রার। তারপরের ধাপে আছেন কনসালটেন্টরা। ইউনিভার্সিটি হসপিটাল বা ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল হাসপাতালে তাঁরা কাজ করেন। এই পদ্ধতি চালু সেখানকার সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা এনএইচএস-এ। সমান্তরালভাবে প্রাইভেটে প্রথম ধাপ হল জিপি বা জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স। তাঁরাই ঠিক করেন, রোগীকে পরের ধাপে কোথায় এবং কারা দেখবেন।