গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
সিপিএমের পার্টি অফিসের দরজা ছিল খোলা। তার ফাঁক দিয়ে সৃজনকে দেখে অনেকে এসে আলাপ করলেন। ‘ভোট দিতে পেরেছি’-ভোটারদের এই কথা শুনে আশ্বস্ত সৃজন। ভোটের দিন সকালের বেশিরভাগ সময় বারুইপুরে কাটিয়েছিলেন তিনি। ‘যাদবপুর নয় কেন?’ এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘এখানে কোনও খবর হলে, নিমেষে চারদিকে ছড়িয়ে যায়। আমাদের লোকেরা পৌঁছে সামাল দিতে পারেন। ওখানে নিজে গিয়ে দাঁড়ানোর দরকার ছিল।’ বলার পর বসে থাকা কর্মীদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি ঠিক বললাম তো?’ তাঁরা তাঁদের প্রতিরোধের কথা শোনালেন। সৃজনের বক্তব্য, ‘গ্রামের হারিয়ে যাওয়া ভোটাররা ফিরলেন কি না সেটা দেখতে হবে। আর শহুরে মধ্যবিত্ত ভোটারের পাশাপাশি আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভোট এলে ভালো ফল হবেই।’ কর্মীরা বলেন, ‘সৃজন ভোটে দাঁড়ানোর পর এখানকার অনেকে বামে ফিরছেন। সেকথা আমাদের জানিয়েওছেন।’
কথাপ্রসঙ্গে এল ভাঙড়। ‘ভোটের শেষবেলায় গিয়ে কী বুঝলেন?’ সিপিএম প্রার্থীর উত্তর, ‘ভাঙড়ের মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন অনেক জায়গায়। সেটাই ভরসা।’ এক তরুণ ঢুকলেন পার্টি অফিসে। সৃজন তাঁকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘চিন্তা করিস না। আমাদের ফল ভালোই হবে।’ তারপর আড্ডা আরও জমল। উঠল সৃজনের ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ। আলোচনা করতে করতে দুপুর গড়িয়ে যায়। এক কর্মী এলেন। তাঁর জিজ্ঞাসা,‘খাবে কী?’ এরপর এল চিকেন রোল আর কোল্ড ড্রিংকস। দুপুরের খাওয়ার পর্ব শেষ হতে সময় লাগল না। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কিছুদিন টহল দেবে। শুনে স্বস্তি ফিরল সবার মনে। আবার দৌড় শুরু করতে চললেন সৃজন ভট্টাচার্য।