গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সাতটি বিধানসভা থেকে এক লক্ষ ১০ হাজার মার্জিন পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই লিডের অন্যতম শরিক ছিল দেগঙ্গা, রাজারহাট-নিউটাউন এবং মধ্যমগ্রাম। ২০১৯ সালে রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী ২৩ হাজার ৬৪৩ লিড পেয়েছিলেন। দু’বছর পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল প্রার্থী তাপস চট্টোপাধ্যায় ৫৬হাজার ৪৩২ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। অর্থাৎ ওই দু’বছরে ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি ও ক্ষোভ ছড়িয়েছিল নিউটাউনে। এদিকে স্মার্ট সিটি গ্রামীণ এলাকায় ঢুকে যাওয়া, অন্যদিকে নির্বাচনের দিন অশান্তির জেরে ভোট দিতে না পারা। এই দুই ক্ষোভ ছিল বিজেপির হাতিয়ার। শনিবার নির্বাচনে ঢালাও ভোট দিয়েছেন রাজারহাট-নিউটাউনের মানুষ। সেই ভোট কোন ফুলে পড়েছে, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। বারাসত কেন্দ্রের জন্য এই বিধানসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিজেপি স্মার্ট সিটির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। বিজেপির বারাসত লোকসভার কো-কনভেনার অনুপম ঘোষ বলেন, গত বিধানসভাতে রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভায় আমরা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জমে থাকা যে ক্ষোভ শনিবার ইভিএমে পড়েছে, তাতে আমরা লিড নেব বলেই আশা করছি। অন্যদিকে রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই রাজারহাট-নিউটাউনের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এবারও তাঁরা উন্নয়নের পক্ষে আমাদের সমর্থন করেছেন। গত লোকসভায় আমরা যা লিড পেয়েছিলাম, এবার তার চেয়ে বেশি লিড পাব।
গত লোকসভায় এক লক্ষ ১০ হাজারের বেশি লিডে জয়ী হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের কাকলিদেবী বিধাননগর বিধানসভায় ১৮ হাজার ৯১৬ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু প্রায় আট হাজার ভোটে লিড নিয়ে জয়ী হন। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, বিধাননগরে ২০১৯ সালের লিডই বজায় থাকবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ’১৯ এখন অতীত। ’২১ এর চেয়ে বেশি মার্জিন পাবে তৃণমূল।