গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে শিয়ালদহ থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর ২০০৬ সালে নামখানা পর্যন্ত ট্রেন লাইনের সম্প্রসারণ করা হয়। সেই সময় থেকেই শিয়ালদহ-নামখানা ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। এই শিয়ালদহ-নামখানা লাইনের যে দু’টি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি, সেই দু’টির নাম হল নিশ্চন্দপুর ও কাশীনগর। দুটি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এক সময় এই দু’টি স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীরা মাঝখানে একটি স্টেশন তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেন। সেই আবেদন মেনে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে মাধবনগর নামে একটি স্টেশন তৈরি করা হয়। তবে স্টেশনটি তৈরি হলেও সব ট্রেন এখানে দাঁড়ায় না। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। ২০১৫ সালে তাঁরা এই স্টেশনে আরও বেশি ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি তুলে ট্রেন অবরোধও করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত মেটেনি ট্রেনের সমস্যা।
এ বিষয়ে শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিশ্বনাথ বেরা বলেন, এই এলাকায় ৩টি হাইস্কুল, ১৪টি প্রাইমারি স্কুল ও আশপাশ মিলিয়ে প্রায় ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এছাড়াও এই এলাকার প্রচুর ছাত্রছাত্রী কাকদ্বীপ কলেজে পড়াশোনা করেন। এই এলাকার প্রচুর মানুষ কলকাতাতেও চাকরি করেন। রোজ শিয়ালদহ-নামখানা লাইনে প্রায় ১৪টি ট্রেন যাতায়াত করে। অথচ এই স্টেশনে সকালে মাত্র তিনটি আপ ও বিকেলে তিনটি ডাউন ট্রেন দাঁড়ায়।
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদার বলেন, আমাদেরও একই দাবি। অবশ্যই ওই স্টেশনে বেশি সংখ্যক ট্রেন দাঁড়ানোর দরকার রয়েছে। বিষয়টি রেল দপ্তরকে জানানো হবে। এসইউসিআইয়ের প্রার্থী বিশ্বনাথ সর্দার বলেন, ওই প্লাটফর্মে যাতে সব ট্রেন দাঁড়ায়, আমাদের দলের পক্ষ থেকে সেই দাবি রেলদপ্তরের কাছে রাখা হবে। বিজেপির প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত আবেদন পাইনি। পেলে বিষয়টি দেখা হবে।