গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
ভাটপাড়া ছাড়া বারাকপুর লোকসভার অধীন বাকি ছ’টি বিধানসভাতেই লিড পাওয়ার ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূল শিবির। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৪২ শতাংশ ভোট। সিপিএম পায় ১০ শতাংশ। সেবার সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতেই এগিয়েছিল বিজেপি। একমাত্র আমডাঙা এবং নোয়াপাড়া বিধানসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। দু’বছর পর, ২০২১ সালের বিধানসভায় দেখা যায়, ফল কার্যত উল্টে গিয়েছে। তৃণমূলের ভোট শতাংশ বেড়ে হয় ৪৬ শতাংশ। সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টিতেই তৃণমূল জয়লাভ করে। একমাত্র ভাটপাড়া ছিল বিজেপির দখলে। এবার গত লোকসভার মতো ফল হয় নাকি একুশের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’—সেটাই এখন দেখার।
বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের দাবি, সব বিধানসভাতেই এগিয়ে থেকে জিতবেন তিনি। ভাটপাড়া ও জগদ্দল বিধানসভা তাঁকে বিপুল মার্জিন দেবে বলে আশাবাদী বিদায়ী সাংসদ। তাঁর আরও দাবি, আমডাঙার তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে তিনি এবার থাবা বসিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘অর্জুন সিং কাউন্টিং এজেন্টদের মনোবল বাড়ানোর জন্য একথা বলছেন। ভাটপাড়া ছাড়া আর কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর এগিয়ে থাকার প্রশ্নই নেই। ২০২১-এর পুনরাবৃত্তিই হবে।’ পার্থবাবুর কটাক্ষ, ‘নিজের স্বার্থে দল পরিবর্তন করব, দলকে ব্যবহার করব, মানুষ এটা পছন্দ করছে না। গুন্ডারাজের বিরুদ্ধেও মানুষ এবার রায় দিয়েছে।’
এর পাশাপাশি দুই শিবিরে চলছে একেবারে ওয়ার্ড ধরে ধরে হিসেবনিকেশ। তবে যে কেন্দ্র একদা সিপিএমের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল, এবার তারা লড়াইয়ে ধারেকাছেই নেই বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তারা বলছে, পাশের আসন দমদমে সিপিএম যেভাবে জোরদার লড়াই করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেই জায়গায় বারাকপুরে বামেরা অনেকটাই নিষ্প্রভ। তবে চূড়ান্ত ফলাফল জানার আগে কোনও শিবিরই হার মানতে রাজি নয়।