গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মিনাখাঁ থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বধূ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিস শুধুমাত্র ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় পুলিস মাত্র একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। সে জেল হেফাজতে আছে। সম্প্রতি সে জামিনের আর্জি জানায় বসিরহাটের জেলা দায়রা আদালতে। ওই আবেদনের শুনানি চলাকালে বিচারকের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। বিচারক মামলার কেস‑ডায়েরি দেখে সমস্ত তথ্য জানার পর তদন্তকারী পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভরা এজলাসে তিনি বলেন, ‘এমন একটি গুরুতর অভিযোগ জানার পরেও কেন গণধর্ষণের মামলা দায়ের না করে শুধুমাত্র ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হল? কেনই বা বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হল? তাহলে কি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল?’ বিচারকের আরও মন্তব্য, ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট ও গোপন জবানবন্দির নথিকে তুড়ি মেরে তদন্তকারী অফিসার যে কাজ করেছেন, তা এক কথায় ক্ষমার অযোগ্য। কোনও মতেই একে সমর্থন করা যায় না। আপনি আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন।’ তদন্তকারী পুলিস অফিসার এনিয়ে আদালতের কাছে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখা দিতে পারেননি। এরপরই বিচারক ওই কড়া নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, অভিযুক্তের জামিনের আর্জিও নাকচ করে দেয় আদালত। বিচারকের বক্তব্য, অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় ধৃতের জামিন খারিজ করা হল।