গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে এক রকম নিশ্চিত শ্রীরামপুর লোকসভার সিংহভাগ বাসিন্দা। সেকারণেই যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে নিয়ে চর্চা। গোটা বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বের মুখের হাসি চওড়া করছে। আবার পাল্টা যুক্তির ঝাঁপি খুলে বসছে সিপিএম এবং বিজেপি। সিপিএমের জোট প্রার্থী তরুণী নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, ৪ জুন শ্রীরামপুর লোকসভার আকাশ লালে লাল হয়ে যাবে। অক্ষরনগরী থেকে বামপ্রার্থীই দিল্লির সংসদে যাবে। বিজেপি’র রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, শ্রীরামপুরের মানুষ এবার পদ্ম ফোটাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছেন। সিপিএম ও তাদের দোসর তৃণমূল নেতৃত্ব, মানুষের মনের কথা বুঝতে পারেনি। সব শুনে মুচকি হাসছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাম এবং বিজেপি, দু’পক্ষের নেতারাই দম্ভের মিনারে বসে আছেন। তাই শ্রীরামপুরের ভোটার, আম জনতার চর্চা তাঁদের কানে আসছে না। আমাদের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জিতছেন, সেটা ২০ মে মানুষই স্থির করে দিয়েছেন। তাই দ্বিতীয় স্থানে কে থাকবেন, তা নিয়ে মানুষ চর্চায় মেতেছেন।
এবার শুরু থেকেই শ্রীরামপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী ধারে ও ভারে এগিয়ে থেকেই প্রচারে নেমেছিলেন। টানা তিনবার জয়ের রেকর্ড, রাজ্যের উন্নয়নের কাজের সুফল, দাপুটে সাংসদ হিসেবে পরিচিতি ইত্যাদি তাঁর পক্ষে গিয়েছে। ফলে, আরও একবার ঘাসফুল ফুটছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত দলীয় নেতৃত্ব। বাম নাকি বিজেপি, কে থাকবেন দ্বিতীয় স্থানে, সেটাই হয়ে উঠেছে এখন আলোচ্য। শ্রীরামপুরের সমাজকর্মী সমীর সাহা অবশ্য মনে করেন, এই চর্চার পিছনেও একটা রাজনীতি আছে। নতুন ধারা দিয়ে বামেরা তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির কাছ থেকে ফেরাতে পারবে কী? এককভাবে কতটা শক্তি সঞ্চয় করেছে বিজেপি? শ্রীরামপুরের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নিয়ে চর্চার অন্দরে আসলে এই প্রশ্নগুলি লুকিয়ে আছে। যাই হোক না কেন, গণনার প্রাকমুহূর্তে জয়ীর নয়, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নিয়ে চর্চার পালে তুফান উঠেছে গঙ্গাপাড়ের জনপদে। যা বিস্ময় জাগাচ্ছে।