গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। কলকাতা থেকে জেলা—চিত্রটা কমবেশি একই। বিস্তীর্ণ এলাকা দফায় দফায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। কলকাতা ও শহরতলির বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থা সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাক দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সোমবার সিইএসসি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পরিষেবা ব্যাহত হলে জেনারেটর চালিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে দ্রুত। সিইএসসির দাবি, পরিষেবা অব্যাহত রাখতে তারা ১০০টি জেনারেটর কাজে লাগাচ্ছে। ব্যবহৃত জেনারেটরগুলির ক্ষমতা এক-একটি ট্রান্সফর্মারের সমান (৫০০ কেভিএ)। সংস্থার কর্তারা বলছেন, শুধু কলকাতার জন্য জেনারেটরগুলি মজুত রাখা হচ্ছে, তা নয়। শ্রীরামপুর, বালি, সোদপুর, আগরপাড়া থেকে ঠাকুরপুকুর, বজবজ, মহেশতলার মতো শহরতলি এলাকায়ও একই ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যেখানে ট্রান্সফর্মারে সমস্যা ধরা পড়ছে, সেখানেই চটজলদি জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে, এমন পরিস্থিতি আগাম আন্দাজ করেও জেনারেটর পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা প্রায় ৪০০ জেনারেটর প্রস্তুত রেখেছে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। চলতি মাসে বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড গড়েছে। এখনও পর্যন্ত সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৬ এপ্রিল। ওই দিন সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ২ হাজার ৭২৮ মেগাওয়াটে পৌঁছয়। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকায় ওই দিন চাহিদা পৌঁছয় ৯ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াটে। আগে কখনও রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা এতটা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।