ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই। স্টার্কের ডেলিভারিতে বোল্ড হন ঈশান কিষান (১৩)। রোহিত শর্মা (১১), নমন ধির (১১), তিলক ভার্মা (৪), নেহাল ওয়াধেরা (৬), অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (১) দ্রুত ফেরেন। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের সামনে অসহায় দেখায় মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের। ৭১ রানে ছয় উইকেট পড়ার পর সূর্যকুমার যাদব (৫৬) একা লড়েন। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হন রাসেলের বলে। অন্তিম দু’ওভারে জয়ের জন্য মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৩২ রান। ক্রিজে টিম ডেভিড থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। ১৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই বিশাল ছক্কা হজম করেন স্টার্ক। যা দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন, ফের হয়তো ডোবাবেন অজি পেসারটি। কিন্তু তারকারা জানেন কীভাবে পালে হাওয়া টানতে হয়। ২৪.৭৫ কোটির স্টার্ক ওই ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে শুধু দলকে জেতাননি, অতীত ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেন। তাঁর ফুলটস ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে ডেভিড (২৪) আউট হতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মুম্বই। এরপর একে একে চাওলা (০) ও কোয়েৎজিকে (৮) আউট করে দলকে জিতিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন স্টার্ক। ১৮.৫ ওভারেই থামে হার্দিকের দল। ৩৩ রান দিয়ে স্টার্ক একাই নেন চার উইকেট। দু’টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নারিন, বরুণ ও রাসেল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাইটদের শুরুটাও ভালো হয়নি। স্লিঙ্গার নুয়ান থুশারার দেরিতে ভাঙা সুইংয়ে ম্যাচের চতুর্থ বলেই আউট হন সল্ট (৫)। তিনে নামা অংক্রিশ রঘুবংশীও ব্যর্থ (১৩)। নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (৬) হলেন থুশারার তৃতীয় শিকার। তখন স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে ২৮-৩। সেটাই দ্রুত ৪৩-৪ হয়ে যায়। আশাহত করেন নারিনও (৮)। এই অবস্থায় রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাট জ্বলে উঠবে, আশা করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু পীযূষ চাওলার প্রথম বলেই রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁ হাতি। ৬.১ ওভারে অর্ধেক দল ড্রেসিং-রুমে। সেখান থেকেই বেঙ্কটেশ আর মণীশের ব্যাটে ভদ্রস্থ হয় ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ বলে ৮৩ যোগ করেন দু’জনে। ৩১ বলে দুটো চার ও দুটো ছয়ের সাহায্যে ৪২ করেন মণীশ। আর ৫২ বলে বেঙ্কটেশের সংগ্রহ ৭০। তাতে রয়েছে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা।
হার্দিকের রক্ষণাত্মক নেতৃত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেঙ্কটেশ-মণীশের জুটি রক্তচাপ কমায় নাইট সমর্থকদের। তবে হার্দিকের বলে মণীশ ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতার ইনিংস। আন্দ্রে রাসেল (৭) কুৎসিতভাবে রান আউট হন। ১৮তম ওভারে রামনদীপ সিং (২), মিচেল স্টার্ককে (০) নিখুঁত নিশানায় বোল্ড করেন বুমরাহ। শেষ ওভারেও বেঙ্কটেশের মিডল স্টাম্প ছিটকে দেন তারকা পেসার। তবে বৃথা যায় বুমরাহ, থুশারার লড়াই।