উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে থেকেই চার নম্বর পজিশন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এসেছে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্তত এক ডজন ব্যাটসম্যানকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে ওই জায়গায়। কিন্তু সুযোগটা উপযুক্ত সদ্ব্যবহার করতে পারেননি কেউই। দীর্ঘ দিনের সেই রোগের মুশকিল আসান হয়ে উঠলেন শ্রেয়াস। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের তিন ম্যাচে তিনি করেছেন ১০৮ রান। যার মধ্যে রবিবার নাগপুরে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারক ম্যাচে ৩৫ বলে তাঁর ৬২ রানের ইনিংস দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। শ্রেয়াসই ভারতের চার নম্বর পজিশনের্য শূন্যতা পূরণ করবেন, এমনটাই ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিজেই সেটা জানালেন শ্রেয়াস। তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলেছিল যে, আমাকে চারে ব্যাট করতে হবে। সেভাবে যেন নিজেকে প্রস্তুত করি, আত্মবিশ্বাসী থাকি। তাঁদের আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে ভালো লাগছে। চাপের মুখে ভালো ব্যাট করতে পেরে আমি খুব খুশি। সত্যি বলতে কী, শেষ কয়েকটা সিরিজ আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে চার নম্বরে নিজের একটা মানদণ্ড তৈরি করতে পেরেছি। এই জায়গাটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতা চলছে।’
চার নম্বর পজিশনের গুরুত্বটা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন শ্রেয়াস। নিজেই তার ব্যাখ্যাও করলেন দারুণ ভাবে। বললেন, ‘কোহলি এবং রহিত যদি আউট হয়ে যায়, তাহলে আমাদের এমন একজনকে চাই যে, শেষ পর্যন্ত খেলাটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারবে। গেম ফিনিশ করতে পারবে। এটাই চার নম্বর ব্যাটসম্যানরে ভূমিকা। আমিও ঠিক সেই কাজটা করার চেষ্টা করছি।’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য অন্য কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবছেন না তিনি। বরং তাঁর লড়াইটা স্রেফ নিজের সঙ্গে। শ্রেয়াসের কথায়, ‘এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য বিশাল প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু আমি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। কারণ আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুমাত্র আমার সঙ্গেই। কারোর সঙ্গে নিজের তুলনা বা বিচার করতে চাই না। আমি যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারি। আর এই সিরিজে বুঝলাম যে, চাপের মধ্যেও ব্যাট করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টও আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে যাওয়ার।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উত্তেজনার ম্যাচে ভারতের স্টপ-গ্যাপ অধিনায়ক রহিত শর্মার ভোকাল টনিক তাঁদের তাতিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন শ্রেয়াস। জয়ের জন্য ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ধাক্কা খেলেও পরে নিজেদের গুছিয়ে নেয়। ওপেনার নায়িম দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তাতে চাপে পড়ে যায় ভারত। ওই সময় টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখা যায়, সতীর্থদের ডেকে নিয়ে ভোকাল টনিক দিচ্ছেন রহিত। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শ্রেয়াস বলেন, ‘নায়িম ব্যাট করার সময় আমরা বেশ চাপ অনুভব করতে শুরু করেছিলাম। সেই সময় রহিত আমাদের সবাইকে ডেকে পেপ টক দেয়। ওর কথা শোনার পরেই আমরা ম্যাচ জেতার তাগিদ অনুভব করি।’