প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
এবার পৌষমেলা ছ’ দিন ধরে হয়। প্রায় সাত লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিসের দাবি, মেলা সফলভাবে আয়োজন করা গিয়েছে, পাশাপাশি অপরাধপ্রবণতা তুলনামূলক কম ছিল। যদিও মোবাইল, মানি পার্স, দোকান থেকে চুরির ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটেছে বলে অভিযোগ। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, মেলায় ছোটবড় অপরাধ করায় মহিলা সহ প্রায় সাড়ে ৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব বুঝে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মেলায় একটি বাল্যবিবাহ আটকানো গিয়েছে। হুগলির আরামবাগ থেকে আগত নাবালিকাকে বিবাহিত অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের। দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, ওই মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। এরপরেই ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর পাশাপাশি তার স্বামীকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে পুলিস।
সফলভাবে মেলায় আয়োজন করার কথা পুলিস দাবি করলেও বেশ কিছু প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এক ব্যক্তি লেখেন, মেলার মাঠের ঠিক সামনের একটি লজের পাশে কবিগুরু স্ট্যান্ড বলে একটি পার্কিং খোলা হয়। সেখানে, টাকা দিয়ে অনেকেই বাইক রেখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায় পুরোটাই ভাঁওতা। সেজন্য অবৈধ জায়গায় পার্কিং করার অপরাধে পুলিসে জরিমানার শিকার হতে হয়েছে। পুলিসের চোখের সামনে কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এছাড়াও, ভুবনডাঙা, সুরশ্রীপল্লি, রতনপল্লি, শান্তিনিকেতন রোডের বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পার্কিংয়ের রমরমা চললেও পুলিসকে পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। এদিন বৈঠক শেষে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন পুলিস, প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সাহায্য নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাট তোলা হবে। দর্শনার্থীরা যাতে নতুন করে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য দু’টি ফটক বাদে সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র