প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম খাইরুল মোল্লা, আজগর আলি মণ্ডল, প্রদীপ পাশি, অজয় সরোজ ও শ্যামল দলুই। খাইরুল, আজগর ও শ্যামলের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সোনারপুরে। প্রদীপ ও অজয়ের বাড়ি ওই জেলারই বারুইপুরের চম্পাহাটিতে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। এসটিএফ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা বেলডাঙা থানা এলাকার একটি হোটেলের সামনে অভিযান চালাই। সেখান থেকেই একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি ছোট চার চাকার গাড়ি থেকে মোট ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেলডাঙা থানায় মাদক সংক্রান্ত নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, থানা সংলগ্ন একটি হোটেলের সামনে ওই গাঁজা হাত বদলের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। কোচবিহার থেকে এই গাঁজা নিয়ে আসছিল খাইরুল, আজগর ও অজয়। অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা আনা হচ্ছিল। খুব সহজেই রাস্তার সমস্ত নাকা তল্লাশি পার করে কোচবিহার থেকে বেলডাঙায় পৌঁছে যায় গাঁজা ভর্তি ওই অ্যাম্বুলেন্স। সেখানেই একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল প্রদীপ এবং শ্যামল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে ওই চারচাকা গাড়িতে গাঁজা পৌঁছত কলকাতায়। কিন্তু তার আগেই এসটিএফ আধিকারিকরা বমাল তাদের গ্রেপ্তার করে।
তবে এই প্রথম নয়। ধরা পড়ার ভয়ে এমন নানান কৌশলে পাচারকারীরা উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় গাঁজা পাচার করছে। দিন পাঁচেক আগে সূতির চাঁদের মোড়ে আর পাঁচজন সাধারণ যাত্রীর মতোই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল এক বৃদ্ধা ও তার সম্পর্কিত নাতনি। পুলিস এসে সেখান থেকেই পাকড়াও করল তাদের। ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হল ১০ কেজি গাঁজা। থানায় নিয়ে গিয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃদ্ধার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকায়। তার নাতনি থাকে বীরভূমের নলহাটি থানার লোহাপুর এলাকায়। অভিযোগ, তাদের দিয়ে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। গত ২০ অক্টোবর, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড লাগানো সরকারি গাড়ি তল্লাশি করে মেলে এক কুইন্টাল গাঁজা। রঘুনাথগঞ্জ থানার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের তালাইয়ের মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। চালক একাই ওই গাঁজা কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।