কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
উল্লেখ্য, পরিবহণ দপ্তরের এই জলযানটি হলদিয়া থেকে আনা হয়েছিল। তারপর উন্নয়ন সংস্থা টেন্ডার ডেকে প্রমোদতরীটি পরিচালনার দায়িত্ব ওই ঠিকাদার সংস্থাটির হাতে তুলে দেয়। তৈরি হয় পন্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে। পাশাপাশি জলযানটি কতটা সুরক্ষিত, তা খতিয়ে দেখার জন্য জেটি থেকে শঙ্করপুর বন্দর ও দীঘা মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রে দেড় কিলোমিটার জলপথে দু’বার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়ালও হয়। জেটি পর্যন্ত যাওয়ার মাটির রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযুক্ত ছিল। খালের পাড় ভাঙা ছিল। ধীর ধীরে রাস্তা সহ সব পরিকাঠামোই তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাতের বেলায় আলোকমালায় সেজে উঠবে প্রমোদতরী। থাকছে সাউন্ড সিস্টেম, নাচ-গান ও খানাপিনার আসর সহ সমুদ্রবিলাসের নানা ব্যবস্থা। আধুনিক সুবিধাযুক্ত এই জলযানে রেস্তরাঁর পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকদিন দু’টি করে সফর নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দু’টি ডেকে সর্বাধিক ৮০ জন পর্যটক বসতে পারবেন। এলইডি স্ক্রিনে দীঘার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চলচ্ছবি তুলে ধরা হবে এবং যাত্রীরা দীঘা সহ সন্নিহিত এলাকা সম্পর্কে অনেককিছু জানতে পারবেন।
উন্নয়ন সংস্থার এক কর্তা বলেন, মাথাপিছু কত ভাড়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চালু হলে তা স্থির করা হবে। তবে প্রমোদতরীতে ভ্রমণের জন্য স্পট ও অনলাইন, দু’ধরনের বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে ছোটখাট অনুষ্ঠান, পার্টি প্রভৃতির জন্যও ভাড়া করা যাবে প্রমোদতরী। ঠিকাদার সংস্থার কর্তা প্রদীপ দাস বলেন, প্রমোদতরী চালানোর যাবতীয় পরিকাঠামোই তৈরি। প্রশাসন সবুজ সঙ্কেত দিলেই আমরা চালু করে দেব। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, পুজোর আগেই প্রমোদতরীটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা পরিবহণ দপ্তরের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি, যথাসময়েই সমস্ত কাজ মিটে যাবে।