কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
আইওসি রিফাইনারি কনট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুকুল মাইতি বলেন, এবার পুজোর বাজেট গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এবছর বিশ্বকর্মা পুজোর বাজেট ৩০ লক্ষ টাকা। পুজোয় জাঁকজমকের সঙ্গে সমাজসেবার ভাবনাও খুবই গুরুত্ব পায়। আইওসি রিফাইনারি কর্তৃপক্ষ যে অর্থ সাহায্য করে, তা সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে কাজে লাগাই। ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে পুজোর উদ্বোধনের দিনই এক হাজারের বেশি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হবে। এরমধ্যে শতাধিক স্কুল কলেজের পড়ুয়াও রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এবছর ৫০০ জনকে নতুন জামাকাপড়, ৫০০ জনকে মশারি দেওয়া হবে। ৫০জন অসুস্থ মানুষকে দেওয়া হবে চিকিৎসার খরচ। ১০০ জন পড়ুয়ার প্রত্যেককে দু’হাজার টাকার পাঠ্যবই এবং ৫০ জনকে পড়ার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগীদের ফল বিতরণ করা হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় পুজোমণ্ডপের পাশেই থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বড় আকারে রক্তদান শিবির হবে। প্রতিবারই শ্রমিকরা রক্তদান করেন। হলদিয়া শহর ও লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার মানুষজনকে এই সহায়তা দেওয়া হয়।
আইওসি রিফাইনারির বিশ্বকর্মা পুজো দেখার টানে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় হয়। রথ দেখা কলা বেচার মতো পুজো দেখতে এসে আইওসি রিফাইনারিও দেখা হয় দর্শনার্থীদের। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নোটন মিশ্র ও মিন্টু সামন্ত বলেন, এবার জাঁকজমক করেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্বোধনে রিফাইনারির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অতনু সান্যাল ছাড়াও মন্ত্রী ও বিশিষ্ট অতিথিরা থাকবেন। তিনদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। এবার বিশ্বকর্মা প্রতিমা গড়ছেন মহিষাদলের ইছাপুরের শিল্পী সুভাষ জানা। ফাইবার রাখি ও রেশম সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরি হয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের চিন্তায় ফেলে একটানা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে মণ্ডপসজ্জার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সকলেই এখন আবহদপ্তরের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে। তাঁদের আশা, দুর্যোগ কেটে গিয়ে পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপে উপচে পড়বে ভিড়। অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, পুজোর সঙ্গে আইওসিতে কর্মরত তিন হাজারের বেশি ঠিকা শ্রমিক কর্মচারী যুক্ত। শ্রমিকদের পিএফ ও ইএসআইতে সহায়তার জন্য সংগঠনের নিজস্ব পিএফ-ইএসআই কোড রয়েছে। উচ্চশিক্ষায় কোনও শ্রমিকের ছেলেমেয়ে সমস্যায় পড়লে সহায়তা দিতে তহবিলও রয়েছে।-নিজস্ব চিত্র