সম্পত্তি রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা, আত্মসমীক্ষা করার প্রয়োজন। দাম্পত্য মধুরতা বৃদ্ধি। প্রতিদ্বন্দ্বীকে হঠিয়ে প্রেম ... বিশদ
অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা যুব তৃণমূল নেতা পবিত্র গিরি প্রায় তিন মাস ঘরছাড়া। ওই নেতার বাড়ি নিজনাড়ুয়া গ্রামে। তিনি জানুমানু প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ওই নেতার বাবাকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। একইভাবে নিজনাড়ুয়া বুথের তৃণমূলের সভাপতি বলাই মাইতিও ঘরছাড়া। তাঁর পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল। বলাইবাবুর ছেলে বিজেপি নেতাদের হাতেপায়ে ধরে ৫০হাজার টাকা দিয়েছেন। ভগবানপুর-২অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শশাঙ্কশেখর জানা বলেন, ঘরছাড়া নেতাদের পরিবার থেকে জরিমানা তুলছে বিজেপি। জরিমানা আদায়ের পরও ঘরছাড়া নেতাদের ঘরে ফেরার অনুমতি মিলছে না। আমরা ২মে ফল ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আশা করি, তারপর বিজেপির এই সন্ত্রাস শেষ হবে।
অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান তন্ময় প্রধান ছাড়াও পঞ্চায়েত সদস্য বিবেকানন্দ দাস, বিমল পড়িয়া, রুম্পা মান্না প্রায় তিন মাস এলাকাছাড়া। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বুদ্ধদেব বেরা দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া। মানসিক যন্ত্রণায় সম্প্রতি তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বুদ্ধদেববাবুর দুই ছেলে, ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ঘরছাড়া। অর্জুননগর পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১৬টি বুথ। প্রতিটি বুথের তিন-চারজন সাংগঠনিকস্তরের নেতা এলাকাছাড়া। আবার বিজেপির সন্ত্রাস সত্ত্বেও অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী বাড়িতেই আছেন। তাঁরাও জরিমানার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ঘরছাড়া। একজন প্রধান কেন ঘরছাড়া থাকবেন? আমরা বলেছি, প্রধান ঘরে ফিরে আসুন এবং অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করুন। কিন্তু, তিনি আসেননি। ওই এলাকায় জরিমানা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। যাদের কাছ থেকে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে তাঁরা বিষয়টি জানালে আমরা খতিয়ে দেখব।