শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
গত ২০ মে বিধ্বংসী উম-পুন সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে মে মাসের শেষ নাগাদ দু’দফায় ১৯৮ কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্য। সেই টাকা ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভার মধ্যে সাব অ্যালট করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পুরসভা এলাকায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় মহকুমা শাসকদের উপর। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে পাকাবাড়ির মালিক, অনেক বাড়ির একাধিক লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘটনায় জেরবার হতে হয় জেলা প্রশাসনকে। ২৯ জুন ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ হতেই নানা প্রান্তে ক্ষোভ, বিক্ষোভ, অবরোধ, ঘেরাও করার ঘটনা ঘটে। চাপে পড়ে শাসক দলের নেতাদের অনেকেই টাকা ফিরিয়ে দেন। নন্দীগ্রামে শাসক দলের পক্ষ থেকে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ২৫ জন নেতাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ডের(এসডিআরএফ) টাকা দেওয়ার মুহূর্তে বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। রাজ্য থেকে টাকা পাওয়ার পরই ব্লক ও পুরসভা ভিত্তিক ‘সাব অ্যালট’ না করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জেলাশাসকের অফিসে চেয়ে পাঠানো হয়। সেই তালিকা দেখেই প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা পাঠানো হবে। আগেভাগে কোটা বেঁধে টাকা পাঠানোর পথে হাঁটেনি প্রশাসন। সোমবার বেশ কয়েকটি ব্লক থেকে আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এসেছে। আজ থেকে টাকা দেওয়া শুরু হবে।
সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য খেজুরি-১ব্লকে ৬কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তাতে ৩২০০ জনের মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু, বিডিও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি খতিয়ে দেখে জানান, দু’-তিনশোর বেশি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নেই। চাপ সত্ত্বেও ওই ব্লকে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্তদেরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কয়েক কোটি টাকা উদ্বৃত্ত হয়। সেই টাকা এখন আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে জেলায় ১৬টি ব্লক ও দু’টি পুরসভায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের বাড়ি ইন্সপেকশনের জন্য ১৮জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলেও খেজুরি-১ ব্লক ওই তালিকার বাইরে। অর্থাৎ ওই ব্লকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। অথচ লাগোয়া খেজুরি-২, দেশপ্রাণ, নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। তমলুক পুরসভায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সারানোর জন্য এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরে একজনও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত নেই। সেই টাকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদেরই দেওয়া হবে।