পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর হ্রদ বিস্ফোরণের জেরে বিপর্যস্ত হয় প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। যারজেরে ওই দিন বিধ্বংসী রূপ নিয়েছিল তিস্তা নদী। সেই সময় নদীর জলের স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় করোনেশন সেতুর একাংশ। সেতুটি পূর্তদপ্তরের (নাইন ডিভিশন) অধীনে। এতদিনে তারা সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে। পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিম বিপর্যয়ে সেভকে ওই সেতুর একটি পিলারের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রায় এক মাস ধরে সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার কাজ চলছে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকার সেই অর্থ বরাদ্দও করেছে।
পূর্তদপ্তরের (নাইন ডিভিশন) দায়িত্বপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত ঠাকুর বলেন, সিকিম বিপর্যয়ে ওই সেতুর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তা সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা শেষ হবে। একই সঙ্গে সমগ্র সেতুর স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে সেভকে তিস্তার উপর ওই সেতুর নির্মাণের শিলান্যাস করা হয়েছিল। ১৯৪১ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতুটি প্রায় ১৮০ মিটার লম্বা। এর একদিকে দার্জিলিং জেলা, অন্যদিকে কালিম্পং জেলা। এই সেতু দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে সহজেই দার্জিলিং, কালিম্পং ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া সম্ভব। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সেতু বিভিন্ন সময় ভূমিকম্প সহ প্রাকৃতি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, নিয়মিত সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আগেও একাধিকবার সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচল নিয়েও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ৬০ টনের বেশি ওজনের যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে পারবে না।
এদিকে, সেভকে করোনেশন সেতুর বিকল্প আরএকটি ব্রিজ তৈরির দাবি বহুদিনের। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবি পূরণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শালুগাড়ার আর্মি ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেভক বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড করিডর তৈরি করার জন্য ১৪শো কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করবে বলে দার্জিলিংয়ের এমপি রাজু বিস্তা জানিয়েছেন। কিন্তু বিকল্প সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হচ্ছে না।
পূর্তদপ্তরের (নাইন ডিভিশন) ইঞ্জিনিয়াররা অবশ্য জানান, অনেকদিন আগেই বিকল্প সেতুর বিষয়ে সমীক্ষা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট প্রস্তুত করার কাজ চলছে। চলতি আর্থিক বছরই প্রকল্পটি অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।