পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
২০১৮ সালে বিধানসভায় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাশ হয়। তার দু’বছর পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আলিপুরদুয়ার কলেজেই অস্থায়ীভাবে পঠনপাঠন চালু হয় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের। চার বছর কেটে যাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও ইসি গঠিত হয়নি। তৈরি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবনও। আলিপুরদুয়ার কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা কলেজের না বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেই দ্বন্দ্বই এতবছরে কাটিয়ে ওঠা যায়নি। যা নতুন উপাচার্যের কাছে চ্যালেঞ্জ স্বরূপ হবে বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপাচার্য শরিৎকুমার চৌধুরী। বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবে চার বছর হয়েছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটা মোটেই বিরাট সময় নয়। অনেক কলেজই বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে। সেই মতো আলিপুরদুয়ার কলেজও বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল গঠিত হয়নি। এর আগে যাঁরা ছিলেন তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন। তবে আলিপুরদুয়ার কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা কলেজের না কি বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেই দ্বন্দ্ব সবার আগে মেটানো হবে। আগামী তিনমাসের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব মেটানোয় জোর দেওয়া হবে। তারপর অন্য সমস্যাগুলি মেটানোর দিকে জোর দেব।
আলিপুরদুয়ার জেলায় ১০টি কলেজ আছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও জেলার কলেজগুলি এখনও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এই বিষয়ে স্থানীয় কলেজগুলিকে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার দাবি অনেকদিনের। এবিষয়ে নতুন উপাচার্য বলেন, এই জেলার কলেজগুলির অবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দরকার। তাতে কলেজগুলিরই সুবিধা হবে।
আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে। টিএমসিপির জেলা সভাপতি সমীর ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টাতেই আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সমস্যা মিটল। নিজস্ব চিত্র।