পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
এই গ্রামে ১৭টি পরিবারের বাস। চা বাগান ঘেরা বস্তির একপাশে কলাবাড়ি বনাঞ্চল। অপরদিকে, নেপাল সীমান্ত। নেপালি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১০০জন ওই বস্তিতে থাকেন। কৃষিকাজ তাঁদের আয়ের মূল উৎস। মরশুম অনুযায়ী ধান, ভুট্টা, সব্জি উৎপাদন করেই চলে তাদের সংসার। তবে, ঘরে ফসল তোলাই তাদের চ্যালেঞ্জ। পাশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। রয়েছে হাতির আতঙ্ক। অপরদিকে, শুয়োর সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী কৃষি জমিতে তাণ্ডব করে। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে যা বাঁচাতে পারেন তা দিয়ে জুটছে দু’বেলার খাবার। ওই বস্তির অধিকাংশ মানুষ হাতির হানার সামনে পড়েছেন। অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন। তবু ভয়কে দূরে সরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চা বাগান ও বনাঞ্চল ঘেঁষা কাঁচা রাস্তায় চলাচল করতে হয়। প্রায় দেড় কিমি এমন রাস্তা রয়েছে। তার মাঝে রয়েছে একটি ঝোড়া। মারাপুর চা বাগানে এসজেডিএ-র উদ্যোগে প্রায় দেড় কিমি পেভার ব্লকের রাস্তা তৈরি হয়েছে। বাগানে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। অভাব অনটনের মধ্যে সন্তানদের স্কুল, কলেজে পাঠাতে খামতি রাখতে চায় না বাসিন্দারা। সেখান ১২ জন স্কুল পড়ুয়া সহ ৪ জন কলেজ ছাত্রী রয়েছে।
হাতিঘিষার বিরসা মুন্ডা কলেজের কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুশকান খেড়ুয়া বলেন, বেহাল রাস্তা দিয়ে রোজ কলেজে যেতে হয়। এতে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত রাই বলেন, দাদা সনম ও ঠাকুরদা কাইলা, দুজনে হাতির হানায় মারা গিয়েছেন। তবে কয়েক পুরুষের বাসস্থান ছেঁড়ে যাব কোথায়? এখানেই আমাদের কৃষি জমি ও ভিটে বাড়ি। সব মহলে জানিয়েছি। কিন্তু নেতারা খোঁজও নিতে আসেন না। বস্তিতে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই।
এই ব্যাপারে মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ বলেন, পিএইচই জল প্রকল্পে ওই বস্তিটিকে ধরা আছে। শীঘ্রই পাইপলাইনের কাজ হবে। ওই এলাকার রাস্তার জন্য প্রস্তাব পাঠানো আছে। অনুমোদন পেলে সেটির কাজ হবে। রেশন পরিষেবা পাচ্ছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখব। টুকরা বস্তির বেহাল রাস্তা। - নিজস্ব চিত্র।