কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পরিবারের লোককে ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার মতো ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আশিঘরের কাছে ভবেশ মোড়ে নিজেদের পান দোকানে বসে ব্যবসা করছিলেন অভিনন্দন পণ্ডিত নামে এক যুবক। আমচকাই দুই দুষ্কৃতী জোর করে অভিনন্দকে তাদের স্কুটারে তুলে নিয়ে রওয়না হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই যুবকের বাবা বাচ্চু পণ্ডিত আশিঘর ফাঁড়ির পুলিসকে জানান। ছেলের মোবাইল থেকে একটি ফোনও পান বাচ্চুবাবু। ছেলে ফোনে তাঁকে জানায় দুষ্কৃতীরা এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। সেই টাকা দিয়ে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি পুলিস ও নিজের পরিচিতদের জানান বাচ্চুবাবু। পুলিসকে বিষয়টি জানিয়ে টাকা জোগাড় করে কানকাটা মোড়ে যান তিনি। সেখানে একটি সাদা গাড়ি করে অপহরণকারীরা আসবে বলে জানায়। সেই মোতাবেক বাচ্চুবাবু উপস্থিত হন। আগে থেকেই আশিঘর ফাঁড়ি ও নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিস সহ বেশ কয়েকজন যুবক এলাকায় ছিল।
নির্দিষ্ট রঙের গাড়িটি এসে পৌঁছতেই পুলিস ও বাকিরা গাড়িতে থাকা দু’জনকে ঘিরে ধরে। একপ্রস্থ ধস্তাধস্তির পর ওই দু’জনকে আটক করে পুলিস। যদিও সেই গাড়িতে পান ব্যবসায়ী যুবক ছিলেন না। ঠিক সেই সময় আরও একটি কালো রঙের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই গাড়ির পিছু নেন ব্যবসায়ী যুবকের শ্যালক ও বোনজামাই। অভিযোগ সেই সময় গাড়ি থামিয়ে দু’জনকে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীদের দলটি। ইস্টার্ন বাইপাসে নিয়ে গিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
নিউ জলপাইগুড়ি থানা ও আশিঘর ফাঁড়ির পুলিস ইস্টার্ন বাইপাসের দু’দিক দিয়ে অভিযান চালানো শুরু করে। শেষপর্যন্ত গভীর রাতে তিন অপহরণকারীর সঙ্গে উদ্ধার করা হয় অভিনন্দনকে। পুলিসের দাবি, অপহরণকারীরা সংখ্যায় সব মিলিয়ে ১৪-১৫ জন ছিল। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যবসায়ী যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। • নিজস্ব চিত্র।