মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ
শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ২ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ১৯-তম বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব। উৎসব চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই উৎসবে প্রতিদিন গোটা ডুয়ার্স থেকে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় আছড়ে পড়ে। ইংরেজি নতুন বছরের একেবারে শুরুতে এই ডুয়ার্স উৎসব কমিটি ও জেলা পুলিস উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
ডুয়ার্স উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে জেলা পুলিস-প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বরের বৈঠকে জেলার পুলিস সুপার নিজেও উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তার জন্য উৎসব প্রাঙ্গণে সিসিক্যামেরা থাকছে। উৎসবের নিরাপত্তায় ফাঁক রাখা হচ্ছে না। জেলার পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ডুয়ার্স উৎসবের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ পুলিস কর্মী মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজন পড়লে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকেও কিছু পুলিস আনা হতে পারে।
২ জানুয়ারি ডুয়ার্স উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক সহ একাধিক মন্ত্রী থাকতে পারেন। বুধবার উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৮ তারিখ উৎসবে আসছেন প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক রাজা সেন। মাদলের তালে জেলার ২৬টি জনজাতির লোকায়ত কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রদর্শনী সহযোগে শোভাযাত্রার মাধ্যমে ডুয়ার্স উৎসবের উদ্বোধন হবে।
প্রতি বছর ডুয়ার্স উৎসবে বাংলাদেশের স্টল থাকত। কিন্তু ওপার বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য এবছর সেই দেশের স্টল থাকছে না। তবে প্রতিবেশী আর এক দেশ ভুটানের স্টল থাকছে। এবারও উৎসবে আসছেন কাশ্মীরি শাল বিক্রেতারা। মেলায় এবছর ২০০০স্টল থাকছে। তার মধ্যে শুধু মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলই থাকছে ৫০টি। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের শিল্পীরাও উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশ করবেন। উৎসবে প্রতিযোগিতা ও আমন্ত্রণমূলক অনুষ্ঠানে শুধু পাঁচ হাজার শিশু শিল্পীই অংশ নেবে। সব মিলিয়ে জমজমাট হতে চলেছে এবারের ডুয়ার্স উৎসব। -নিজস্ব চিত্র।