কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার। ... বিশদ
শুধু তাঁরাই নয়, বন্যজন্তুর ভয়ে দিনের আলোতে মায়ের দর্শন সেরে ঘরে ফিরতে হয় নাথুয়ার নিউদিঘা, ধুমপাড়া, খয়েরকাটা সহ বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকার বাসিন্দাদের। আশপাশে এক দুটি ক্লাবের উদ্যোগে দুর্গাপুজো হলেও সন্ধ্যার পর সেখানেও শুনশান হয়ে যায়। আওয়াজ আর আলো দেখে জঙ্গল থেকে হাতির দল ছুটে আসার অনেক নজির এলাকায় রয়েছে। এবছর নাথুয়া বাজারে বেশ কয়েকটি ক্লাবের উদ্যোগে বিগ বাজেটের পুজো হবে। তার মধ্যে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম আশ্রমপাড়া দুর্গাপুজো কমিটির তরফে মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। আলোর রঙে রঙিন হবে নাথুয়া বাজার।
মাঝিয়ালি বস্তিতেও আনন্দের ঢেউ। প্রাথমিক স্কুলের গন্ডি পার হওয়া কিশোর টুবাই মুন্ডা, রভীন মুর্মুর মুখে চওড়া হাসি। তারা জানায়, সামনের হাটে নতুন জামাকাপড় কিনতে যাবে। তারপর মায়ের হাত ধরে নাথুয়াতে ঠাকুর দেখতে যাবে। এলাকার বাসিন্দা মালতী রাভা, ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, জঙ্গল লাগোয়া আমাদের বস্তি। রাতের বেলায় যেকোনও সময় বন্যজন্তু বেরিয়ে আসে। ভয় বেশি হাতি আর চিতাবাঘের। তাই সতর্কতার সঙ্গেই আমরা উৎসবে মেতে উঠি। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে আমরা রাত্রিকালীন উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হই।
(নাথুয়ার মাঝিয়ালি বস্তি। - নিজস্ব চিত্র।)